সুবর্ণা হামিদ: বাংলাদেশের হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারী) সিলেট নগরীর রোজ ভিউ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে একটি বিভাগীয় পর্যায়ের পরামর্শক সভার আয়োজন করে। আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো ক্রিশ্চিয়ান এইড, ইউনাইটেড নেশনস ডেমোক্রেসি ফান্ড এবং স্থানীয় হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থা, সিলেট।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুবুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আলাউদ্দিন, জেলা সমাজ সেবা অধিপ্তরের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আঞ্জুম নাহিদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বন্ধু’র পরিচালক (পলিসি এ্যাডভোকেসী ও হিউম্যান রাইটস) উম্মে ফারহানা জেরিফ কান্তা।
পরামর্শক সভায় আদিবাসী, দালিত, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা তাদের দুদর্শা ও বৈষ্যমের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রকল্পের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মুজিব উল্যাহ্ তার বক্তব্য জানান, বন্ধুর নেতৃত্বে ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্যোগ এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সিলেট বিভাগে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড কমিটি তৈরি করেছে।
লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচারে প্রবেশাধিকার ও আইনী সহয়তা প্রকল্পের সমন্বয়কারী জোবদাতুল জাবেদ জানান বাংলাদেশের হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের কারনে পৈতৃক সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বন্ধু হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষদের ন্যায় বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য আইন আলাপের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে যাচ্চে ২০১৩ সাল থেকে।
বিশেষ অতিথি মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের সকলের উচিত হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর মানুষের জীবিকা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করণের মধ্য দিয়ে তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করা। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের কৃষিখাতে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষের সম্পৃক্ততার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেনে।
মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, সমাজের আদিবাসী, দলতি, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য উক্ত জনগোষ্ঠীর মানুষদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাজ করতে হবে।
নিবাস রঞ্জন দাশ তার বলেন, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পরিচয়ের সংজ্ঞাগত জটিলতার কারনে তারা অনেক সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই জটিলতা দূর করা সম্ভব হলে, হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমে আরো ব্যাপক ভাবে অংশগ্রহন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :