শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:৫১ বিকাল
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০৬:৫১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষককে যাবজ্জীবন 

রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির লংগদুতে এক স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই.এম ইসমাইল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

২০২০ সালের ২৫সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিম তাদের হারিয়ে যাওয়া ছাগল খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে ভিকটিমকে লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আর.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আসামি ছাত্রাবাসের ভিতরে লেবু দেখিয়ে ডেকে নিয়ে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে কাউকে না জানাতে ভিকটিমকে হুমকি দেন।

ভিকটিম ভয়পেয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে দুইদিন ঘরে কান্নাকাটি করে। পরে ভিকটিম তার মাকে বিষয়টি জানাই। পরে ভিকটিমের মা নানা সামাজিক ব্যক্তিকে জানান। তারা কিছু করতে না পারাই পরে লংগদু থানায় ৫অক্টোবর ২০২০তারিখে মামলা দায়ের করা হয় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে।
 
রায়ে বলা হয়, আসামি যেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ভিকটিম সেই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। আসামি স্বীকৃত মতে বিবাহিত। তিনি একদিকে যেমন তার পরিবারের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন, অন্যদিকে তার নিজের ছাত্রীকে ধর্ষনের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলঙ্কিত করেছেন। অধিকন্তু, তিনি ধর্ষনের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য একে পাহাড়ী বাঙ্গালী জাতিগত বিরোধের ফলাফল মর্মে দাবী করেছেন।

তিনি পরবর্তীতে মামলা থেকে বাঁচার জন্য ভিকটিমকে ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করেছেন মর্মে আদালতে কাগজ দাখিল করেছেন। তৎপরবর্তীতে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ কালে আবার দাবি করেছেন যে, তিনি এজাহারকারীর ফাঁদে পড়ে ভিকটিমকে বাঁচানোর জন্য তাকে বিবাহ করেছেন। আসামির উত্তরূপ কর্ম প্রতীয়মান হচ্ছে, আসামি প্রকৃতপক্ষে একজন প্রতারক এবং বিকৃত যৌনাচারের ধারক ও বাহক। তাকে অনুকম্পা প্রদর্শনের সুযোগ নেই। অধিকন্তু, আসামিকে যথোপযুক্ত সাজা প্রদান করা হলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বসবাসরত পাহাড়ী, বাঙ্গালীসহ সকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর জনগণের নিকট পুনরায় এই বার্তা যাবে, যে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং বিচার বিভাগ সকলের জন্যই উন্মুক্ত।

রায়ে আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় শান্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাবস্ত করে আসামি আব্দুর রহিমকে যাবতজীবন কারাদন্ড দেন এবং অতিরিক্ত ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামী পক্ষ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানান।

আসামি পক্ষের আইনজীবি এড্যা. মোখতার আহমেদ বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুদ্ধ। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এড্যা. সাইফুল ইসলাম অভি জানান, ধর্ষণ মামলার এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়