শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০২:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ০২:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরিত্যক্ত জমিতে জেলা প্রশাসকের সবজি চাষ

পরিত্যক্ত জমিতে জেলা প্রশাসকের সবজি চাষ

জহিরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর : জেলা প্রশাসকের বাসভবন লাগোয়া পরিত্যক্ত জায়গায় এখন সবুজ ফসলের সমারোহ। এখানে শীতকালীন সবজি ও বারোমাসি ফসলসহ বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষিবান্ধব লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ নিজ হাতেই এ সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন। কৃষকের ভূমিকায় তিনি প্রতিদিন সকাল-বিকাল পরিচর্যা করেন বাগান। বিশেষ করে ছুটির দিনে তার অধিকাংশ সময় কাটে ফসলের মাঠে। এখন জেলা প্রশাসকের বাগানে শীতকালীন ও বারোমাসি ফসল দোল খাচ্ছে।  

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই পাশে নয়নাভিরাম সবুজ ফসল। খন্ড খন্ড ভাগে লাগানো হয়েছে হরেক রকমের সবজি। জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ও তার সহধর্মিণী তাহরিমা আনোয়ার সে ফসলের পরিচর্যা করছেন। বাগান থেকে তুলছেন শীতকালীন হরেক রকমের সবজি। তাদের সহযোগিতা করছেন মালিরা। ডিসির বাসভবনের পুকুর পাড়েও চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। বর্তমানে তার বাগানে ৩০-৩৫ ধরনের সবজি এবং ফুল, ফলদ ও ঔষধি মিলিয়ে অন্তত ২০-২৫ প্রকার গাছ লাগানো হয়েছে।

সবজি হিসেবে চাষ হচ্ছে- ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউশাক, পুঁইশাক, লেটুসপাতা, পটোল, সজনে, কাঁচকলা, পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া, শরসে, গাজর, ধনেপাতা, বিলাতি ধনেপাতা, কাঁকরোল, শালগম, বেগুন, ঝিঙে, বরবটি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, লেবু, শসা, ধুন্দুল, করলা, শিম, কলমি, সরিষা, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও মরিচ।

ফুল-ফল ও ঔষধির মধ্যে আছে টগর, জবা, বেলি, গন্ধরাজ, কসমস, অর্কিড, গাঁদা, সূর্যমুখী, বেলি, জুঁই, বকুল, রঙ্গন, কামিনী, মালতি, চিরতা, তোকমা, তুলসী, লটকন, আমড়া, কলা, মালটা, ড্রাগন ফল, ডালিম ও সফেদা ইত্যাদি। 

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা” বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুর জেলার ব্যক্তি পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের অনাবাদী জমি আবাদের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। অনাবাদী পতিত জমি কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কাজে সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ তাঁর সরকারি বাসভবনের অনাবাদী জমিতে ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজি চাষসহ অন্যান্য ফলজ উৎপাদন শুরু করেছেন। পারিবারিক পুষ্টির অভাবপূরণ এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার প্রধানের এই ষোঘণা বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুর জেলার সকলকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করা এবং অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য জেলা প্রশাসক কাজ করে যাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ড. জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক একজন কৃষিপ্রেমী মানুষ। তিনি নেশা থেকেই কৃষিকাজ করছেন পরিত্যক্ত জমিতে। আমরা তাকে সহযোগিতা করেছি। মাটি উর্বরের কারণে ফলনও ভালো হচ্ছে। এসব সবজি তার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অফিসের লোকজনসহ মানুষের মধ্যে উপহার হিসেবে বিতরণ করছেন। স্কুল ও কলেজের বাচ্চাদের বাগান দেখাবেন। বিশেষ করে জেলাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্যই জেলা প্রশাসকের এ প্রচেষ্টা। এটা দেখে যেন সকলেই পরিত্যক্ত জমিতে ও বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সরকারি বাসবভনের আঙ্গিনায় সম্প্রতি কৃষি কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে নিজেই বীজতলা তৈরি করে চারা উৎপাদন করেছি। এছাড়া জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও আমাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। জৈবসার ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে এ চাষাবাদ করা হচ্ছে। সেগুলো এখন বেড়ে উঠছে। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। আর কয়েক দিন পর আরও সুন্দর লাগবে। স্কুল শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং জেলাবাসীদের উদ্বুদ্ধ করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

প্রতিনিধি/জেএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়