শিরোনাম
◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির 

প্রকাশিত : ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:২০ রাত
আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ০৮:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাউফলে বিদ্যালয়ের জমি বেদখল , দোকানের ছাদে পাঠদান

বাউফলে বিদ্যালয়ের জমি বেদখল

উওম কুমার, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমণি ইউনিয়নের পূর্ব ইন্দ্রকুল চৌমুহনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে একটি দোকানের ছাদে। স্থাণীয় কতিপয় প্রভাবশালী দীর্ঘদিন থেকে ওই বিদ্যালয়ের জমি দখল করে রাখায় নতুন ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। ফলে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ২ বছর আগে ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। নিলাম প্রক্রিয়া শেষে পুরাতন ভবন অপসারন করার পর স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাকির মৃধা ও বিজিবি সদস্য মনির হোসেনসহ একাধিক প্রভাবশালী বিদ্যালয়ের জমি দখল করে নেন।

এরপর দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকে বিদ্যালয়ের বেঞ্চ চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র। করোনা মহামারীর কারনে টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা দেয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

এরপর সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর মালিকানাধীন একটি দোকানের ছাদে জরুরী ভিত্তিতে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে টিনশেড শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই ছাদেই চলছে পাঠদান। সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু বলেন, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে দ্ব›দ্ব তৈরি হওয়ায় বিপাকে পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দোকানের জন্য তৈরি ষ্টলে আমি মাঝেমধ্যে সময় কাটাতাম। এখন সেটি বিদ্যালয়ের ব্যবহারের জন্য দিয়েছি।

প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হওয়ার পর কোন উপায় না পেয়ে দোকানের ছাদেই পাঠদান শুরু করতে হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান হাওলাদার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে বিদ্যালয়ের জমি চিহ্নিত করে একবার লাল নিশান দিয়ে গেছেন। কিন্তু ওই লাল নিশান বিজিবির সদস্য মনির উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। 

বিজিব সদস্য মনির বলেন, আমি আমার কবলাকৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাস করছি। এখানে বিদ্যালয়ের জমি নেই। যুবলীগ নেতা জাকির মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন আমার পৈত্রিক সম্পত্তি বিদ্যালয়ের দখলে ছিল। এখন আমি আমার জমি দখলে নিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, বিদ্যালয়ের জমি দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দোকানের ছাদেই পাঠদান করতে হবে।

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়