সালেহ্ বিপ্লব: তাকে ফরিদপুর থেকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে পাওয়া একটি মরদেহকে রহিমা বেগমের বলে দাবি করেছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান। মায়ের সন্ধান চেয়ে পোস্টার বের করেন মেয়ে, ঢাকায় সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেন। শুক্রবার তিনিই জানান, ময়মনসিংহে পাওয়া মরদেহের আলামত দেখে তিনি চিনতে পেরেছেন, এটিই তার মায়েরই মরদেহ।
আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রহিমা বেগম জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে এখন খুলনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত ২৭ আগস্ট খুলনার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। পরদিন তার মেয়ে ফেসবুকে এখবর জানান।
তিনি লিখেন, ``গতকাল রাত আনুমানিক দশটা থেকে আমার মা'কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে নাহ। একটু দয়াকর আগে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। গতকাল রাতে আনুমানিক ১০টায় আমার মা বাসার নিচে পানির কল থেকে পানি নিতে যায়। প্রায় ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মাকে খোজা শুরু করেন সবাই। মায়ের পায়ের জুতা, গায়ের ওড়না, পানির পাত্র পড়ে আছে। আমার মা নেই। আমি আমার মাকে খুঁজে পেতে চাই। দয়াকরে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন।’’
তিনি আরো লিখেন, ‘‘পূর্বের ঘটনা: প্রতিবেশীদের সাথে আমার মায়ের জায়গা জমি বিষয়ক মামলা হয়। মা বাদী হয়ে খুলনার দৌলতপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলার কয়েকদিনপরে আমাদের বাড়িতে হামলা হয়। আমার ছোটবোন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে পড়ে, ও তখন বাড়িতে ভেকেশনে। হামলাকারীরা ভাংচুর করে এবং আমার বোন ভিডিওধারণ করতে গেলে ওকে এবং মাকে মারধর করে। মা পুনরায় এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরেকটি মামলা করেন। এরপর থেকে আসামীরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি, আমার ছোট বোনকে ধর্ষণের হুমকি দেয়। মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, যদি মামলা তুলে না ফেলে। ইন্টারনেট থেকে কল দিতো, কল দেওয়ার পরে নম্বরটি হারিয়ে যেতো, বিভিন্ন দেশের নাম দেখাতো। আসামীরা এখন মামলার জামিনে,আর আমার মা নিখোঁজ। আমি আমার মাকে চাই, দয়াকরে আমাকে সহযোগিতা করুন। ঠিকানা: হাউজ ৩৫, পুরাতন কুয়েট রোড, মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিক পড়া, ওয়ার্ড ১, পোস্ট: কুয়েট, থানা: দৌলতপুর, খুলনা।’’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ভিকটিমকে আমরা তার বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। তার কাছ থেকে জেনে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :