শিরোনাম
◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির! ◈ ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা পেল নিবন্ধন, নতুন নীতিমালায় পুরনো ৯৬টির নিবন্ধন বাতিল ◈ সরকারি দায়িত্ব শেষ, পেশাগত কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক আলী রীয়াজ: ফিরবেন কিছুদিন পর ◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:২৮ বিকাল
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাপে কাটলে ভরসা ওঝা নয়, অ্যান্টিভেনম: ঝুঁকি নিয়ে খেলা দেখানো সাপুড়েরা ছুটছেন হাসপাতালে

ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শুক্রবার সকালে তিনজন সাপুড়ে বসে ছিলেন খেলা দেখাতে। কাঠের বাক্স থেকে বের হচ্ছিল গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, দাঁড়াশ আর অজগর। চারপাশে ভিড় জমলেও দৃশ্যটা যেন একসময়ের তুলনায় ম্লান। এখন আর আগের মতো দর্শকের ভিড় নেই, গাছগাছালির ওষুধেরও কদর নেই।

দিনাজপুর পৌর শহরের শেখপুরা মহল্লার বাসিন্দা মো. আইনুদ্দিনের (৭৫) জীবন কেটেছে সাপের খেলা দেখিয়েই। তিনি বলেন, ‘৪০ বছর হলো সাপের খেলা দেখাচ্ছি। সাপ বিক্রি করে আর এই খেলার আয়ে দুই ছেলে দুই মেয়েকে মানুষ করেছি। আগে ভিড় লেগে থাকত, এখন তেমনটা আসে না।’

আইনুদ্দিন জানান, খেলা দেখানোর জন্য তাঁরা সাপ কেনেন ঢাকার সাভারের বাজার থেকে। বেশির ভাগ সাপ ভারত থেকে আসে। এক একটি সাপ কিনতে লাগে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। খেলার সময় কখনো কখনো সাপ দংশনও করে বসে। আইনুদ্দিন বলেন, ‘তিন-চারবার সাপে কামড়েছে। প্রতিবার মেডিকেলে গিয়ে অ্যান্টিভেনম নিয়ে সুস্থ হয়েছি।’

আইনুদ্দিনের পাশে বসে ছিলেন তাঁর ওস্তাদ নুর ইসলাম। হতাশ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আগে গাছগাছালির ওষুধ বিক্রি করে সংসার চলত। এখন আর কেউ কেনে না। দু-তিন মাস পর এ পেশা ছেড়ে ফলের দোকান দেব ভাবছি।’

দলের আরেক সদস্য হাবিবুর রহমানও আছেন এই পেশায় চার দশক ধরে। তাঁর কথায়, ‘খেলা দেখিয়ে আর সংসার চলে না। নতুন পথ খুঁজতেই হবে।’

এই সাপুড়েরা স্বীকার করেন, বিষদাঁত ভেঙে ফেলার পরও সাপে দংশনের ঝুঁকি থাকে। কারণ, প্রতি মাসেই নতুন বিষদাঁত গজায়। ফলে খেলা চলাকালীন তাঁদের প্রায়ই কামড় খেতে হয়। নিজেদের তৈরি গাছগাছালির ওষুধে কোনো ফল মেলেনি।

আইনুদ্দিন সরল স্বীকারোক্তি, কাউকে সাপে কামড়ালে তার প্রথম কাজ হওয়া উচিত মেডিকেলে গিয়ে অ্যান্টিভেনম নেওয়া। ওঝা বা ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট করলে রোগীর প্রাণ ঝুঁকিতে পড়ে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, যাঁরা সাপ নিয়ে খেলা দেখান, ঝুঁকি নেন প্রতিদিন, তাঁরাও শেষ পর্যন্ত ছুটে যান হাসপাতালে। তাঁদের এই অভিজ্ঞতা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—সাপে কামড়ালে ওঝা নয়, ভরসা একটাই—অ্যান্টিভেনম। সূত্র: আজকের পত্রিকা 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়