কাজী রাশেদ,চান্দিনা( কুমিল্লা: চান্দিনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে। দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর চলমান পৌরসভাটির নানা সমস্যার মাঝে অন্যতম সমস্যা নেই পশু জবাইখানা, নিয়োগ হয়নি ভেটিরিনারী বা স্বাস্থ্য পরিদর্শক। তাই বাধ্য হয়ে অন্ধের মত মাংস কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা।
কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার অন্তরগত গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল বাজার চান্দিনা বাজার। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার নানা ধরণের ক্রেতার সমাগম হয়। তাই এখানে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন ৭/৮টি গরু এবং ১৫/২০টি ছাগল জবাই করে বিক্রয় করছেন কসাইরা। কিন্তু এসব গরু-ছাগল স্বাস্থ্য সম্মতভাবে নির্ধারিত জবাই করার স্থান আজো নির্মাণ করেনি পৌর কতৃপক্ষ । কী ধরণের গরু-ছাগল জবাই করা হচ্ছে তা দেখার জন্য ভেটেরিনারী বা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয় নাই। তাই অনেক ক্রেতাদের প্রশ্ন জাগে রাতের আধারে মহাসড়কের পাশে জবাই করে আনা গরু সুস্থ, আতহ না মরা গরুর গোস্ত কিনে খাচ্ছেন তারা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাথায় নিয়ে গরু-ছাগলের গোস্ত কিনছেন ক্রেতারা।
চান্দিনা বাজারের গরু মাংস ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান ,আমরা মহাসড়কের পাশে রুপনগর এলাকায় খালের পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে জবাই করে আনছি ।খাশির মাংস বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন আমার বাড়ি হারং গ্রামে, প্রতিদিন বাড়ি থেকে ছাগল জবাই করে এনে বিক্রয় করি।তবে গরু-ছাগলের মাংস বিক্রেতা সবার দাবী বাজারের কাছাকাছি একটি কসাইখানা পৌর কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করে দিক।
উল্লেখ্য দায়িত্ব এড়ানোর জন্য চান্দিনা পৌরসভার ময়লা ফেলার স্থানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডুমুরিয়া এলাকায় বহু বছর আগে একটি কসাইখানা নির্মাণ করে পৌরসভার অর্থ অপচয় করেছে তৎকালীন পৌর মেয়র। যা ব্যবহারে সম্পূর্ণ আযোগ্য।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে চান্দিনা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী ভেটেরিনারি বা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিয়োগকে উপেক্ষা করে জানান, এর চেয়ে গরুত্বপূর্ণ পদ খালি রয়েছে নিয়োগ হচ্ছে না, আর এসব পদ নিয়োগ দিতে হলে মন্ত্রনালয়ের অনুমতি লাগে । এসব নিয়োগের চাহিদা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান এখন পর্যন্ত কোন চাহিদা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়নি। তিনি আরো জানান, আপনারা যখন বলছেন আমরা এখন মন্ত্রনালয়ে চিঠি লিখবো।
এব্যপারে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, যদিও অন্য স্থানে একটি করা হয়েছে এটা ব্যবহারে অনুপযোগী। আমরা আশে পাশে জায়গা পেলে বা কেউ যদি জায়গা দান করে আমরা করে দিব।
অথচ পৌর আইনে পশু জবাইয়ের সময় পশু চিকিৎকের ( ভেটেরিনারি )উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।পশু জবাইয়ের পূর্বে পশুচিকিৎক দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মাংস উপযুক্ত কিনা ,তা নিশ্চিত করতে হয়। কোন পশু অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত হলে তা জবাই করা যাবে না।পাশা পাশি মাংসের মান নিয়ন্ত্রনে রাখারও বিধান রয়েছে পৌর আইনে।