আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের যুগে এসেও অনেক মানুষ এখনও কবিরাজের পেছনে ছুটে থাকেন। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এখনও কবিরাজের চিকিৎসায় বিশ্বাসী। তবে সেই কবিরাজ যদি চিকিৎসা দেওয়ার বদলে আপনাকে ধর্ষণ করে- এমনই এক ঘটনা ঘটেছে রংপুরে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে হাজীরহাট থানাধীন কেরানীহাট এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলায় কবিরাজ মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রোববার রাতে র্যাব-১৩ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সুস্থ হবে, তা না হলে অসুস্থ থেকেই যাবে’- এমন ভয়ভীতি এক প্রতিবন্ধী নারীকে দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মিন্টু মিয়া। পরে ওই নারী মামলা করলে কবিরাজ আত্মগোপনে যান। অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে মিন্টু মিয়া।
এ বিষয়ে র্যাব জানায়, পেশায় কবিরাজ মিন্টু মাঝে মধ্যে চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন এবং রাজি না হলে সুস্থ হবেন না বলে ভয় দেখাতে থাকেন। গত ১ জুলাই দুপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন মিন্টু। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৮ আগস্ট রংপুর মহানগরীর হাজীরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
র্যাব-১৩ এর মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, মামলার পর থেকে মিন্টু পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে র্যাব-১৩ সদর কোম্পানির একটি দল হাজীরহাট থানাধীন কেরানীহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিন্টুকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে। উৎস: ইত্তেফাক।