শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৩৫ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম: দুর্ভোগ কমানোর বদলে সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যস্ত ঠাকুরগাঁও প্রশাসন

আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টিআর প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ, শিক্ষা ও নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন হলেও জেলার সদর এলাকাসহ সরকারি স্থাপনাগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনেই বরাদ্দের বড় অংশ ব্যয় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী টিআর প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ হওয়ার কথা গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, সেতু ইত্যাদি জরুরি অবকাঠামোর উন্নয়নে। অথচ প্রকল্প তালিকায় দেখা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে ফোয়ারা, বাগান, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোকসজ্জা, সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ উন্নয়ন, শিল্পকলা একাডেমি ও ক্যালেক্টরেট পাবলিক স্কুলে সৌন্দর্য বর্ধনমূলক কাজে ব্যয় করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় টিআর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ ছিল ৫৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে জেলা প্রশাসন গ্রহণ করেছে ২১টি প্রকল্প। কিন্তু এসব প্রকল্পে বেশিরভাগই শহুরে দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানে ব্যয় হওয়ায় গ্রামের কাঁচা রাস্তাঘাট, জরাজীর্ণ স্কুল ভবন এবং অন্যান্য জরুরি অবকাঠামো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।

জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, “নীতিমালার আওতায় বেশিরভাগ বরাদ্দ গ্রামীণ উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে কিছু প্রকল্পে স্থানীয় জনগণের দাবি ও প্রয়োজন অনুযায়ী সৌন্দর্য বর্ধন কাজ করা হয়েছে, যেমন খেলাধুলার মাঠ উন্নয়ন বা প্রশাসনিক ভবনের অবকাঠামো সংস্কার।”

তবে স্থানীয়রা বলছেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে। প্রকল্পের অর্থ যথাযথভাবে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে খরচ না হলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং গ্রামীণ জনজীবনের প্রকৃত চাহিদা থেকে যাবে অপূর্ণ। তারা অনিয়ম তদন্তে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়