শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৭ জুলাই, ২০২৫, ০৮:৩০ রাত
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২৫, ০১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুলাই আন্দোলনে নিহত জিয়াউরের মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

এম, এ কুদ্দুস, বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে দূর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত বিরলের জিয়াউর রহমান (৪৩)- এর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেয়নি স্ত্রী শাহানাজ আক্তার।

ফলে জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন না করেই ফিরে গেছেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাদ্দাম হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।

সোমবার সকালে নিহত জিয়াউর রহমানের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৬নং ভান্ডারা ইউপি’র নাগরবাড়ী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করার জন্য আসেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাদ্দাম হোসেন, বিরল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিছুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা ডিএমপি’র উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মহাসিন হাসান সহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ। এসময় নিহত জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও মামলার বাদী শাহানাজ আক্তার নিহত জিয়াউর রহমানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনে আপত্তি জানান।

মামলার বাদী শাহানাজ আক্তার জানান, তিনি তো (জিয়াউর রহমান) মরেই গেছেন। আমিসহ আমার ছেলে-মেয়ে কেউ মৃত জিয়াউর রহমানের লাশ উত্তোলন করতে দিতে ইচ্ছুক নই। প্রয়োজনে আমি বিজ্ঞ আদালতে এই ব্যপারে আবেদন করবো।

এব্যপারে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি ও আদেশে ভিকটিম জিয়াউর রহমানের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করতে এসেছি। তবে ভিকটিমের স্ত্রী মামলার বাদী শাহানাজ আক্তারের আপত্তি ও বাঁধার কারণে মৃতদেহ উত্তোলন না করেই ফেরত যাচ্ছি। আমি এবিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে একটি প্রতিবেদন দিব। এরপর বিজ্ঞ আদালত যেটা সিদ্ধান্ত দিবেন সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, নিহত জিয়াউর রহমান (৪৩) বিরল উপজেলার নাগরবাড়ী গ্রামের মৃতঃ আব্দুল কাফি ও খালেদা দম্পত্তির ছেলে। কাজের কারণে সে পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে হোল্ডিং নং-২-এ/১-৭, সেকশন-২, বøক-এ-তে বসবাস করতো।

গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অমির কমল্পেক্সের উত্তর পাশে পাকা রাস্তার উপর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় দূর্বৃত্তদের গুলির আঘাতে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয় ভিকটিম জিয়াউর রহমান। তাকে চিকিৎসার জন্য উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওই বছরের ৯ আগষ্ট সন্ধ্যা ৭ টায় জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরন করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিয়াউর রহমানের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করলে লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের বাড়ী নাগবাড়ী গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
 
এঘটনায় মৃতঃ জিয়াউর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ শাহানাজ আক্তারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং- ০৮, তাং ০৩-০১-২০২৪ ইং, ধারা-৩০২,৩৪ পেনাল কোড।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা ডিএমপি’র উত্তরা পশ্চিম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মহাসিন হাসান মামলাটির সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ভিকটিমের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে লাশ উত্তোলনের জন্য বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি এবং আদেশ চেয়ে একটি আবেদন করেন।
 
তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা আবশ্যক মর্মে মৃতঃ জিয়াউর রহমান (৪৩) এর মৃতদেহ একজন ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে কবর হতে উত্তোলন করে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত এবং ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এক আদেশে দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়