মশিউর রহমান, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ উঠলে ইউএনও হস্তক্ষেপ সেই টাকা ফেরৎ পাচ্ছে অতিরিক্ত টাকা দেওয় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দোকান ঘর ভাড়া টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানাযায়, স্কুলটির আওতায় ২৬ টি দোকান ঘর রয়েছে। সেখান থেকে মাসিক হারে যে ভাড়া আসে সেই টাকা স্কুলের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করার কথা থাকলেও তার যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না।
ইউএনও অফিস রুমে বসে ভাড়া টাকার কথা জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার জানান যে টাকা ভাড়া থেকে পাই সেটা স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে বন্টন করা হয়ে থাকে।
এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলার অনান্য স্কুলের চেয়ে তারা অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে সব সময়। এবং দোকান ভাড়ার টাকা কোনো ভাবেই শিক্ষকেরা পাবে না, এর কোন বিধান নাই। তিনি কি ভাবে উন্নয়ন ফান্ডের টাকা শিক্ষকদের মাঝে ভাগ করে দেন আমার জানা নাই। মূলত দোকান ভাড়ার টাকা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে হবে।
এবিষয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুপ রতন সিংহ জানান, স্কুলটি যে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করেছিলো সেটা ফেরৎ দিবে। এরপর ভর্তি ফি ৮৫০ টাকা করে নিতে বলেছি। দোকান ঘর থেকে আদায় করা ভাড়া শিক্ষকদের দিতে পারবে না। এখান থেকে যে টাকা আসবে সেই টাকা স্কুলের উন্নয়ন কাজে খরচ করতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :