শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের বিরু‌দ্ধে শ্রীলঙ্কার ‌শেষ টেস্ট দল ঘোষণা, ছিটকে গেলেন রত্নায়েকে ◈ রমেক আইসিইউয়ে ধরা পড়ল ধনুষ্টঙ্কার উপসর্গ, আইসোলেশনে রোগী, জীবাণুমুক্তকরণে প্রস্তুতি ◈ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা খুলে দিল কুয়েত ও বাহরাইন ◈ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প ◈ আল‌জে‌রিয়ায় শিরোপা উদযাপনের সময় গ্যালারিতে ৩ দর্শকের মৃত্যু  ◈ পাকিস্তান নয়, টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশে আসছে ভারতের আরেক শত্রু ◈ এক বছর ঝুলিয়ে রে‌খে ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দিচ্ছে ওমান ◈ ইরাকে একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে হামলা: উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ জুলাই অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ও আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ঘোষণা ◈ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ, ঢাকা থেকে দোহা-দুবাইসহ সব ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:৫১ দুপুর
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শীত মৌসুমের শুরুতেই কুয়াকাটায় সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা পটুয়াখালী : সাগরকন্যা খ্যাত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি  পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় দীর্ঘদিন পরে পর্যটকে চাঞ্চল্যতা ফিরতে শুরু করছে।   ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ছুটির দিন উপলক্ষে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে চোখে পড়ার মতো পর্যটক।তাই এবারের  ট্যুরিস্ট মৌসুমে  ব্যবসা-বাণিজ্য গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে ৬০ -৭০ শতাংশ হোটেল মোটেল  কক্ষ বুকিং হয়েছে  বলে হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পৌর কর্তৃপক্ষ।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ অধিকাংশ পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। আগত পর্যটকরা সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগসহ সমুদ্রের  জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠছেন। আবার কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ডেউ উপভোগ করছেন, আবার কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।  দীর্ঘদিন পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় স্থানীয় ১৬টি পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছেন।
 
খুশির ছোঁয়া দেখা গেছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের, ইতিমধ্যেই  পর্যটকদের বরণ করতে   সাজিয়ে নিচ্ছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ , কেনাবেচা জন্য তৈরি রয়েছে  রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, বার্মিজ আচার, কাঁকড়া ফ্রাই, পর্যটকদের ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ক্যামেরাম্যান সহ, চটপটি ফুচকার দোকানে দেখা গেছে মানুষের আনাগোনা, কুয়াকাটা দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ পিপাসা মেটানোর জন্য কাজ করতে প্রস্তুত , মোটরসাইকেল ড্রাইভার, অটোরিকশা চালক,কুয়াকাটা থেকে সমুদ্রপথে  বিভিন্ন দ্বীপ  ও বনাঞ্চল  ভ্রমণ করানোর জন্য  প্রস্তুত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট বোট,স্পিড বোট এবং ওয়াটার বাইক ।
 
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে মনোমুগ্ধকর ৩০ কিলোমিটার বেলাভূমি রয়েছে। পর্যটকরা এখানকার ট্যুরিজম পার্ক , জাতীয় উদ্যান (ইকোপার্ক), শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া কুয়াকাটার পশ্চিমে সমুদ্র পথে  ফাতরার বন, গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লীও এবং সমুদ্রের মাঝখানে জেগে ওঠা অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়া সমহর বিশিষ্ট চর বিজয় ভ্রমণ পিপাসুদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে।
 
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মাহাবুব রহমান বাবু দম্পতি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। অনেক দিন আগে থেকে আসার ইচ্ছে কিন্তু মেয়ের পরিক্ষার কারণে আসতে পারিনি।  ছুটি পেয়ে বেড়াতে এসেছি। মৌসুমের শুরুতে সূর্যোদয় উপভোগ করলাম। অনেক ভালো লেগেছে এখানকার পরিবেশে অনেক সুন্দর কিছু সমস্যা থাকলেও অনেক ভালো লেগেছে।
 
কুয়াকাটা ট্যুরিজম  এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ট্যুরিস্ট বোট মালিক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদী এ বছর   কুয়াকাটায় অনেক ট্যুরিস্টের আগমন হবে।আবার আগের মত প্রাণ খুঁজে পাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, হাসি ফুটবে সকল ব্যবসায়ীদের মনে।
 
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম এবছরের মৌসুমে কুয়াকাটাতে টুরিস্ট বেশি আসবে বলে আমরা মনে করি।ছুটির দিন  উপলক্ষে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকদের ভীড়। পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত এখন কুয়াকাটা  সৈকত। 
 
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের  পরিদর্শক শাখওয়াত হোসেন বলেন,  কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের সেবা দেওয়া ও আইনি সহায়তা দেওয়া আমাদের কর্তব্য।  ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ে। তাদের সেবায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক মাইকিং করে পর্যটকদের সকল বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।
 
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম  ববলেন,  কুয়াকাটায় এবছর পর্যটকদের ভিড় বাড়বে এমন ধারণা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কুয়াকাটার বিভিন্ন স্পটগুলোতে ইতিমধ্যে আমরা  টয়লেটে এবং বসার জন্য ব্যবস্থা করেছি।বাকি কাজ আমরা অল্পতেই শেষ করব যাতে টুরিস্ট সাচ্ছন্দভাবে সাইট ট্যুর গুলো করতে পারে এবং কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়ে। ইতিমধ্যে আমরা সকল ইস্টিক হোল্ডারদের সাথে বসেছি। তাদেরকে সচেতন করেছি যাতে টুরিস্টদের সাথে তারা কোন রকম খারাপ ব্যবহার না করে এবং টুরিস্ট বান্ধব সেবা প্রদান করেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়