রতন কুমার রায়, ডোমার(নীলফামারী): [২] নীলফামারী ডোমার বিএডিসি খামারে আউশ ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনে একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার উপদ্রব বাড়ায় এই ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে।
[৩] ফসলের জমিতে সন্ধ্যার পরে ২হতে ৩ফিট উপরে বাশেঁর খুটিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে এর নিচে একটি পাত্রে ডিটারজেন পাউডার বা সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ফাঁদটি তৈরি করা হয়। বাল্বের আলো দেখে পোকাগুলো সেখানে চলে আসে এবং ফাঁদের নিচে রাখা পাত্রের পানিতে পরে মারা যায়। আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে জমির ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ ও উপকারী পোকা নির্নয় করা যায়। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ বেশী হলে দীর্ঘ সময় ধরে এই ফাঁদ স্থাপন করে রাখলে ক্ষতিকারক পোকা দমন করা সম্ভব। এতে করে ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কম লাগে।
[৪] ডোমার বিএডিসি খামার সুত্রে জানাযায়, চলতি অর্থবছরে খামারটিতে ৩০০একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।২০২১সালে উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা ১০০একর জমিতে পরিক্ষামূলক আউশ ধান চাষাবাদ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় ২০২২সালে বেলে মাটির সাথে এটেল মাটির সংমিশ্রণ ও জৈব সার প্রয়োগ করে ২৪০একর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়। সেই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০৮টন ধান বীজ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয় ৩৮০টন।
[৫] ২০২৩সালে খামারটিতে ২৫৫একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছিলো। ফলন ভালো হওয়ায় চলতি অর্থবছরে খামারটিতে ৩০০একর জমিতে আউশ ব্রি-ধান ৯৮ জাতের ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। খামারটিতে প্রতি বছরেই আউশের ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। আউশ ধান চাষাবাদ একটি চ্যালেঞ্জিং ফসল। মাঠে কোন ফসল না থাকায় আউশ ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ বেশী হয়। ঘনঘন স্প্রে করেও পোকা নির্মুল না হওয়ায় এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
[৬] ডোমার ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আবু তালেব মিঞা জানান, আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিকর পোকা চিহিৃতকরণ ও দমনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার কমবে। এই আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে বিষ মুক্ত ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :