জাফর ইকবাল, খুলনা: [২] খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান বলেছেন, কারাগারে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও সুচিকিৎসা দেয়া হয়নি তাকে। এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, খুলনা জেলা কারা কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি নাহলে ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের মাটিতেই তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্।
[৩] তিনি জানান, এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী এখনো শঙ্কামুক্ত নন। মহান আল্লাহ্তায়ালার রহমতে দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থক খুলনা তথা দেশবাসীর কাছে তাঁর আশু সুস্থতায় দোয়া প্রার্থনা করছি।
[৪] বৃহস্পতিবার ১৬ মে দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর দেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
[৫] লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতা আমীর এজাজ খান বলেন, হাইকোর্টের আগাম জামিন শেষ হলে গত ২৪ এপ্রিল খুলনা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন। আদালত বাপ্পীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
[৬] গত ৩ মে খুলনা জেলা কারাগারে জননেতা মনিরুল হাসান বাপ্পী অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে জেল চিকিৎসকের দ্বারা ইসিজি করানো হয়। পরে চিকিৎসক কারাবন্দী মনিরুল হাসান বাপ্পীকে জানান তাঁর ‘হার্ট এ্যাটাক’ হয়েছে। এরপর খুলনা জেলখানা কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় অনুরোধ করেছি বিএনপি নেতা এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীকে বাহিরে নিয়ে মেডিকেলে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরাই বহন করবো। কিন্তু আমাদের কোনো কথাই কর্ণপাত করলেন না; বরং খুলনা কারা কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার চিকিৎসা না করিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।
[৭] তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ৬ মে সন্ধ্যায় চরম অসুস্থ অবস্থায় জামিনে মুক্তিলাভ করেন মনিরুল হাসান বাপ্পী। পরদিন ৭ মে সকালে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেকআপ করালে, পরিস্থিতি বিপদজনক দেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সাথে সাথেই ভর্তি করিয়ে সিসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা শুরু করেন।
[৮] পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, গত ৩ মে (কারান্তরীণ অবস্থায়) তিনি ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেছিলেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখেই তার চিকিৎসা করানো হয়; পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৩ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম করলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। কারাভ্যন্তরে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাথে সাথে সুচিকিৎসা না পাওয়ায় মনিরুল হাসান বাপ্পীর অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
[৯] জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, এসএ রহমান বাবুল, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, এসএম শামীম কবির ও এনামুল হক সজল, চৌধুরী কওসার আলী, ডাঃ আব্দুল মজিদ, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, মোঃ হাফিজুর রহমান, জিএম রফিকুল ইসলাম, এসএম মুর্শিদুর রহমান লিটন, খন্দকার ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, রুম্মন আজম, সরদার আব্দুল মালেক, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, দিদারুল হোসেন, শামসুল বারিক পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান খান, মোজাফফার হোসেন, বিকাশ মিত্র, নাদিমুজ্জামান জনি, উজ্জ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, আজাদ আমীন, শেখ হেমায়েত হোসেন, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী ও জিএম শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :