সালেহ্ বিপ্লব: [২] রেল লাইনের বেশিরভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে সাত মাস আগেই চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, ট্রায়াল রানের জন্য পটিয়া রেলস্টেশনে একটি ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাসস
[৩] প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের ৮৯ শতাংশের বেশি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেষ হবে। ১০০ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু ও ২৪২টি কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
[৪] সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর তিনটি বড় সেতুসহ ৪৩টি ছোট সেতু, ২০১টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
[৫] নয়টির মধ্যে ছয়টি রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এই নয়টি স্টেশন হচ্ছে
সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও গুনদুম।
[৬] এই স্টেশনগুলোতে শতভাগ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক থাকবে।
[৭] কক্সবাজার সদর স্টেশনটি হচ্ছে ঝিনুকের আদলে একটি আইকনিক রেলস্টেশন, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের সব সুবিধা পাওয়া যাবে।
[৮] প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, নতুন রেললাইনটি বন্দর নগরী থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত দ্রুত ও নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করবে।
[৯] ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৬ হাজার ৩৪ কোটি টাকা দেশীয় উৎস থেকে মেটানো হচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। দুটি চীনা প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
[১০] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের এপ্রিলে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এসবি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :