শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৬:৫৯ বিকাল
আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৬:৫৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের মানুষের স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধারা আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বে : আমু

আমির হোসেন আমু

সুজিৎ নন্দী: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলে আজ ১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা আছে। তিনি বেঁচে আছেন বলেই করোনাকালে সারা বিশ্ব যখন হুমকিতে পড়েছিল, বাংলাদেশ তখন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বিনা পয়সায় তিনি এদেশের কোটি কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা যখন সারা বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলেছে তখনও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন হুমকিতে পড়েছে তখনও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এই কাজগুলোর জন্য মহান রাব্বুল আলামিন তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাই আমি মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থই শেখ হাসিনার স্বার্থ। সেজন্য এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিজয় ত্বরান্বিত করতে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়বে।

হঠাৎ করে নয় বরং বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সাধনা, পরিকল্পনা ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, হঠাৎ করে স্বাধীনতা আসেনি। হঠাৎ করে রাষ্ট্র পাননি। হঠাৎ করে ভারতের সাহায্য আসেনি। আমরা যখন ভারত গিয়েছিলাম,  আমাদের থাকা, খাওয়া, আমাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, সবকিছু আমরা রেডিমেট পেয়েছিলাম। তার কারণ, আগে থাকতেই ওটা বঙ্গবন্ধু ব্যবস্থা করেছিলেন। 

আমির হোসেন আমু আরো বলেন, আমাদের মুজিব বাহিনীর মূল নেতা ছিলেন শেখ মুজিব। তিনি এগুলো আগে থেকেই বন্দোবস্ত করেছিলেন। যার জন্য প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের ক্যাম্প ছিল, আমরা সবকিছু পেয়েছিলাম। আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

শনিবার মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা দক্ষিণ সিটির আয়োজিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা-২০২৩’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন। 

মেয়র শেখ তাপস বলেন, আপনাদের যে অবদান তার তুলনায় আমাদের কোন প্রয়াসই যথাযথ নয়। তারপরও আমরা এই ক্ষুদ্র আয়োজন করে চলেছি। প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করব। এই আয়োজনের মাধ্যমে আপনাদের কাছে পেয়ে, আপনাদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আপ্লুত হই। আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা,  মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সান্নিধ্য আমি পাইনি। কিন্তু আপনাদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি পিতার সান্নিধ্য পাই। তাই আপনারা এই বয়সেও এত কষ্ট করে আসেন, এতে আমি উপলব্ধি করি-আপনাদের ভালোবাসা, আমার প্রতি আপনাদের আবেগ। সেজন্য আমি আপনাদেরকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।

মুক্তিযোদ্ধাদের পৌর কর মওকুফে নিজ ক্ষমতার সম্ভব সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন সম্মানিত করে চলেছেন তার সাথে সাথে আবাসস্থলেরও ব্যবস্থা করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রয়াসকে বেগবান করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সকল আবাসস্থল আছে, বাড়ি আছে, সেখানে পৌর করের যে বিষয় রয়েছে, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি এটুকু বলব, আইনের আওতায় একজন মেয়রের যেটুকু ক্ষমতা আছে সেটুকুর পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, যতটা পারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পৌর কর মওকুফ করে দেবো।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী-প্রশিক্ষণার্থীরা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম সংগীত পরিবেশন করেন। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এ্যাড কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া বক্তব্য রাখেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি আওতাধীন এলাকায় বসবাসকারী ১ হাজার ২৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। 

এসএন/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়