শাহীন খন্দকার: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুপুর থেকে হাসপাতালে বিদুৎ নেই। এ অবস্থায় রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেনারেটরে চলছে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল।
এসব হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে,দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ না এলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর শ্যামলী এলাকার টিবি ও চক্ষু বিজ্ঞান ইনিষ্টিটিউট হাসপাতালে লাইট, ফ্যান, এসিসহ সবকিছু বন্ধ করে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বসে আছেন চিকিৎসক কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় রোগী ও তাদের স্বজনরা হাসপাতালের আশপাশে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।
এসময়ে নিটোর (পঙ্গু) হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেন, বিদ্যুৎ যাওয়ার পর থেকে জেনারেটরে সব মেশিন এবং যন্ত্রপাতি চালানো হচ্ছে। টানা ২ ঘণ্টা চালানোর পর এখন এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখেছি। এর মধ্যে বিদ্যুৎ না এলে আবার দুই ঘণ্টার জন্য জেনারেটর চালু করা হবে।
তিনি বলেন, জেনারেটর চালু রাখার জন্য পাম্পে ডিজেল আনতে পাঠিয়েছি, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় তারাও ডিজেল দিতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ না এলে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে।
জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সচল রাখা হয়েছে। তবে, বিদ্যুৎ না এলে জেনারেটরে নির্ভর করে হাসপাতাল চালু রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্যামলী মানসিক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, ওপর থেকে নির্দেশনা এসেছে, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া যেন লাইট-ফ্যান বা এসি চালানো না হয়। শুনেছি পেট্রোল পাম্পে নাকি ডিজেল পাওয়া যায়নি। জেনারেটরে নির্ভর করে হাসপাতালের পরীক্ষা কার্যক্রম কতক্ষণ চালানো যাবে?
আপনার মতামত লিখুন :