শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২২, ০৫:৪২ বিকাল
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২২, ০৫:৪২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পল্টন ও বনশ্রী এলাকা থেকে ৩ কেজি আফিম উদ্ধার

আফিম

সুজন কৈরী: রাজধানীর পুরানা পল্টন লেন ও বনশ্রী এলাকা থেকে তিন কেজি আফিমসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আবুল মোতালেব (৪৬) ও জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া (৪৪)। 

ডিএনসি বলছে, গ্রেপ্তার আবুল মোতালেবের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনশক্তি ব্যবসার আড়ালে তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীরের বাড়ি জামালপুরে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজারের আড়ালে মাদক কারবারে জড়িত।

ডিএনসি জানায়, ওষুধের কাঁচামালের আড়ালে একটি মাদকের চালান ঢাকায় আসার তথ্যে শুক্রবার রাতে সংস্থার ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান চালায়। উদ্ধার মাদক আফিম কি না, তা জানতে রাসায়নিক পরীক্ষাও করে ডিএনসি। পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়, ওষুধের কাঁচামাল নয়, জব্দ করা চালানটি আসলে আফিমের, যা আফগানিস্তান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসি’র ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, শপিং ব্যাগের ভেতরে একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো ছিল উদ্ধার আফিম। আফিম একটি ‘ক’ শ্রেণির মাদক। উদ্ধার আফিমের আনুমানিক বাজারমূল্য পৌনে তিন কোটি টাকা।

আফিমের এ চালান কোন রুটে ও কীভাবে কারা নিয়ে আসছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে এ চালান বাংলাদেশে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদকের হাব হচ্ছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান থেকেই এ আফিমের সরবরাহ। আফিমের চালান ঢাকায় আনা হয় ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে। উদ্ধারকৃত আফিমের চালানটি ফেনী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা আফিম নতুন করে ঢাকায় সরবরাহের চেষ্টা করছিলেন। আফগানিস্তানে এখন তালেবান ক্ষমতায়। ২০২০ সাল থেকে নতুন করে আফগানিস্তানে চাষ হচ্ছে আফিম। এর সঙ্গে তালেবানদের কারো যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আফিমের ব্যবহার দুভাবে হয়ে থাকে। এক আফিম সরাসরি সেবন এবং দুই আফিম দিয়ে কেমিক্যালের সাহায্যে হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের মতো ভয়ংকর মাদক তৈরি। আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তান ও ইরানে এর চাষাবাদ হয়ে থাকে। 

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আফিম চোরাচালানের সঙ্গে আরো দুইজনের নাম জানা গেছে। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে রিমান্ডে এনে আফিমের উৎস এবং গন্তব্যের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাবে। 

আফিম গ্রহণের ক্ষতিকর অনেক দিক রয়েছে। এটি গ্রহণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, গ্রহণকারী অবচেতন হয়ে পড়তে পারেন। মুখ ও নাক শুকিয়ে যাওয়া, বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির পাশাপাশি বেশি পরিমাণে ব্যবহারে মৃত্যুও ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়