মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া ছাত্রলীগের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদের এক বক্তব্যের পর রোববার সন্ধ্যায় টিএসসি এলাকায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ ও সাইফ মাহমুদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে মঙ্গলবার সকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের জন্য মিছিল যাচ্ছিলো । শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ রড, স্ট্যাম্প, হকস্ট্রিক ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
[৪] বেলা সাড়ে ১১টায় আবার দোয়েল চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দৌড়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। শহীদুল্লাহ হলের ড্রেনে ফেলে ছাত্রদলের দুই নেতাকর্মীকে পেটানো হয় ।
[৫] ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শহীদ মিনার এলাকা হয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলাম। কোনো স্লোগান পর্যন্ত দিইনি। ছাত্রলীগের সঙ্গে আমরা কথা বলি বলি যে ‘আমরা তো শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছি, আমাদের অপরাধটা কী? তারপরও অতর্কিত হামলা চালায়।
[৬] ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে।
আপনার মতামত লিখুন :