শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২২, ০৪:২১ দুপুর
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২২, ০৪:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জায়াদুল আহসান পিন্টু: নির্বাচনের সময় অনির্বাচিত সরকারের হাতে ৩ মাসের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব করছি

জায়াদুল আহসান পিন্টু: বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির আনা সংশোধনী গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন বিল সংসদে সর্বসম্মতভাবে পাস হলো। বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রস্তাবিত আইনের সমালোচনা করলেও সংসদে তারা বেসিক কোন পরিবর্তনের প্রস্তাব আনতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার সংসদে তিন ঘন্টা আলোচনা করে ৮টা সংশোধনী গ্রহণ করে সব দলের সম্মতিতে আইনটি পাস করা হয়। বড় পরিবর্তনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি যে দুজন বিশিষ্ট নাগরিককে অনুসন্ধান কমিটিতে মনোনীত করবেন তাদের মধ্যে একজন নারী থাকবেন। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল, সেটা ১৫ দিন করা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে সাজা খাটা এবং ঋন খেলাপিরা নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন না বলে বিলে বিরোধীদলের আনা সংশোধনী যুক্ত করা হয়েছে।

মধ্য ফেব্রুযারিতে নতুন কমিশন গঠন করতে হলে সার্চ কমিটির জন্য শিগগিরই রাষ্ট্রপতির মনোনীত ২ জনের নাম ঘোষণা করতে হবে।
কারণ আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী কমিশন সদ্য পাস হওয়া আইনেই গঠন করা হবে। যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটির হাতে ১৫ কার্যদিবসও নেই। দ্রুতই সার্চ কমিটিকে ১০ জন ব্যাক্তির নাম সুপারিশ করতে হবে যেখান থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ৪জন নির্বাচন কমিশনারকে বেছে নিবেন।

গত অক্টোবরে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিশন গঠনের আগে আইন করার প্রস্তাব করেছিল। তিন মাস সময় পেয়েও সরকার 'সময় নেই' বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। আইনটি পাস করায় রাজপথে বিএনপি এই আইন প্রত্যাখ্যান করছে। যদিও সংসদে তারা আলোচনায় অংশ নিয়ে কিছু সংশোধনী এনেছে। কয়েকটি সংশোধনী গ্রহণও করা হয়েছে।

এখন অপেক্ষা কারা নতুন কমিশনে শপথ নিবেন এবং তাদের মেরুদণ্ড কতোটা শক্ত হবে। "নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।" সংবিধানে এই কথা লেখা থাকায় তাদের মেরুদণ্ড শক্ত রাখতে কোন বাধা থাকার কথা না।
''নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।" এটাও দেখতে হবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাহী কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা করে কতোটা কর্তব্য পালন করে।

আর যদি 'নির্বাচনকালীন সরকার' 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার' বা 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার' নামে কোন আইনের প্রস্তাব করা হয়, সেক্ষেত্রে একজন ভোটার হিসেবে আমার সুপারিশ থাকবে, বিলের 'উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে' যেন নিম্নরুপ বাক্যগুলো জুড়ে দেওয়া হয়।

"যেহেতু আমাদের অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরের ওপর কোন আস্থা বা বিশ্বাস নেই, যেহেতু আমাদের অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বাধীন সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করিতে ব্যর্থ হইয়াছি তাই সাধারণ নির্বাচনের সময় একটি অনির্বাচিত সরকারের হাতে ৩ মাসের জন্য ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব করিতেছি।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়