শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২২, ০৫:৫২ বিকাল
আপডেট : ২৬ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:০৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুহিন হোসেন প্রিন্স: চুপ? আবারও চুপ!

রুহিন হোসেন প্রিন্স: চুপ আবারও চুপ! পাবলিক তো চুপ করেই আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে অহরহ। আরও দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা তো আছেই। আবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা উপচে পড়ছে। সরকারের একটা দায়িত্ব আছে না? উপচে পড়া টাকা রাস্তাঘাটে পড়ে গড়াগড়ি করবে। মানুষ ওই টাকা নিতে গিয়ে গণ্ডগোল ফ্যাসাদ করবে। তার থেকে ভালো ওই টাকা বুদ্ধি করে, আইনিভাবে সরকারের, বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের পকেটে ঢুকিয়ে দেওয়া। তাহলে তো অন্তত ওই টাকার ‘হেফাজত’ করা যাবে। এসব করা না গেলে সরকার চলবে কীভাবে? বড় বড় প্রজেক্ট তো করতে হবে। যতো বেশি খরচ দেখানো যাবে, বলা যাবে উন্নত, ‘আরও উন্নত প্রজেক্ট এটি’। সময় বাড়বে। খরচ বাড়বে। এটাই তো স্বাভাবিক। এটা না হলে কি বড় বড় প্রজেক্টের মূল্য থাকে ?

টাকা বেশি হলে একটু বেশি বিনোদন, বিদেশে পাচার, নতুন নতুন গাড়ি বাড়ি? এসব না হলে উন্নয়ন দেখা যায়? দেখানো যায়? পাবলিক? আরে বাদ দেন তাদের কথা। এসব বুঝবে না? বুঝতে হবে। টাকা কতোজনের কতো কাজে লাগে। সাধারণ পাবলিকের আর কয় টাকা লাগে। দেশের সাধারণ মানুষ তো ‘অল্প খেয়ে বেঁচে থাকার’ মহা ওষুধ আবিষ্কার করেছে। ক্যালরি ফ্যালরি ওসব বাজে কথা। ওসব সাধারণ মানুষের দরকার নেই। সব ভরসা। যার যা আছে কপালে। তো পাবলিকের পকেটে টাকা যে থাকার প্রয়োজন নেই, এটা কি বোঝা গেলো? নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সন্তুষ্ট থাকুন। ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়লো। এর ফলে পরিবহন, যাতায়াত, দ্রব্যমূল্য, উৎপাদন ব্যয় বাড়লো। দাম বাড়িয়ে তো পাবলিকের পকেটে থেকে নিতে হবে। নেওয়া হচ্ছে। সবাই তো চলছে আইনি প্রক্রিয়ায়। সন্তুষ্ট থাকুন। করোনাকালীন সংকট? একথা মনে আনবেন না। এবার অন্তত আরও দু’টো কাজ করতে দিন সরকারকে। বাগড়া দেবেন না।

বিদ্যুৎ : লোডশেডিং না থাকলে, বুঝবেন কী করে একসময় লোডশেডিংয়ের হতো। লোডশেডিংয়ে থাকলে, মানসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পেলে, হয়রানি হলেও কিছু বলবেন না। বলবেন যা পাচ্ছি অনেক বেশি। অহেতুক বড় বড় প্রজেক্ট করে, দায় মুক্তি দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তাতে কী? আরও প্রজেক্ট চলবে। ‘প্রজেক্ট বাংলাদেশ তো’। যতো প্রজেক্ট এর গল্প বলা যাবে,ততো উন্নয়ন। এটা না হলে উন্নয়ন?

কারা কারা যেন বলে ভুলনীতি আর দুর্নীতি পরিহার করলে কম দামে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। ওসব কান কথা শুনবেন না। এতো কম দামে আর বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না। থাক না ভুলনীতি, দুর্নীতি। হচ্ছে তো উন্নয়ন। মধ্যম আয়ের দেশ হচ্ছি না? পিডিবি বিদ্যুতের দাম ৬৬-৭৯ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়লে, সরাসরি বিল ছাড়াও উৎপাদিত পণ্য, বাড়ি ভাড়াসহ আরও অনেকক্ষেত্রে দাম বাড়বে। তাতে কী? ঠিকই তো। বললাম না পাবলিকের পকেটে টাকা উপচে পড়ছে। ওই টাকা নিয়ে তো যথাযথ ‘হেফাজত’করতে হবে।

গ্যাস : দেশের স্থলভাগ, সমুদ্রের গ্যাস তোলার দরকার নেই। দেশীয় প্রতষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালী করার দরকার নেই। সব ঝামেলা। বিদেশি কোম্পানিকে দেবো। একটু খোঁড়াখুঁড়ি করে কিছু কাজ দেখিয়ে টাকা নিয়ে চলে যাবে। কমিশন? ওসব নিয়ে কথা বলবেন না। সাবধান? বিষয়টা হলো কতো বড় প্রজেক্ট, কতো টাকা- এটাই বড় কথা। এসব কথা তুলে উন্নয়ন ব্যাহত করবেন না। বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি করে। আমদানি নির্ভরতা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বাড়বে। খেয়াল-খুশি মতো দাম নির্ধারণ হবে। ওসব নিয়ে বেশি কথা বলবে না। সবই তো ‘সেবা’। সেবাকারীদের তো একটু আরাম-আয়েশ লাগবে। এগুলোয় বাধা দেবেন না। দেশে-বিদেশে কিছু বিশেষজ্ঞ আছেন। তারা দেশের গ্যাস তুলতে বলেন। শতভাগ মালিকানা রাখতে হবে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে বলে । ভুলনীতি, দুর্নীতি দূর করতে বলে। কতোবড় সহস-বিকল্প পথও দেখায়?

যত্তোসব। তাদের কথা শুনবেন না। তারা শুধু ‘না’ বলে। ‘হ্যাঁ’ বলতে জানে না। তাদের ‘হ্যাঁ’ বলা শেখাতে হবে । অবশ্য তাদের পকেট নেই। পকেট ভারি বোঝে না। উন্নয়ন বোঝে না। বাদ দেন তাদের কথা। দেশের গ্যাস কোম্পানিগুলো মানুষের কাছ থেকে দাম বেশি নিয়ে লাভে আছে। দুর্নীতি, অপচয় করছে। মন্ত্রীও বলছেন। তাতে কী? পাবলিকের পকেটের টাকা তো উপচে পড়ছে। ওই টাকার ‘হেফাজত’ করতে হবে না? তাই গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। কতো কম দামে গ্যাস পোড়াচ্ছেন জানেন? কাঠে খরচ কতো জানেন? হ্যাঁ, গ্যাস তো আমাদের দেশের। তাতে কী? না, কোনো কথা নেই। অনুসন্ধান করেই সব কিছু করা হচ্ছে। কোনো কথা বলবেন না। চুপ! আবারও চুপ!

বাড়তি কথা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাবিত বিলের ধারা ৯। ‘হেফাজত: প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলী এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বৈধ ছিলো বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না ।’ লেখক : সম্পাদক, সিপিবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়