নাজমুল হুদা ও মহসীন কবির: [২] বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক পানি পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এসময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন, তাদের মাথায় হাত ভুলিয়ে সান্তনা দেন ড. জাফর ইকবাল ও বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক।
[৩] শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। দীর্ঘ ১৬২ ঘণ্টা অনশনে থাকেন শিক্ষার্থীরা। অনশন ভাঙার সময় শাবিপ্রবির কোনো শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী হাসান সাজিদ বলেন, শিক্ষক বা শিক্ষক সমিতির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না। শিক্ষক সমিতির দুএকজন শিক্ষক এসেছেন, সেটা শুধুমাত্র মর্নিং ওয়াকের জন্য। তারা এসেছিলেন, দেখে গেছেন।
[৪] এদিকে বুধবার ভোর ৪টার দিকে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন। সবার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন। এ সময় দাবি আদায়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলে অনশন ভাঙতে রাজি হন শিক্ষার্থীরা।
[৫] ড. জাফর ইকবাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কিনা। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।
[৬] শিক্ষার্থীদের বলেন, গতকাল উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।
[৭] উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটা থেকে ২৪ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে অনশনকারী এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য অসুস্থ হওয়ায় অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনি। পরে গত রোববার সেখানে নতুন করে আরও পাঁচ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :