শিরোনাম
◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব ◈ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফের গরম হচ্ছে রাজপথ ◈ ফরিদপুরের কুমার নদে ট্রলার-স্প্রিটবোর্ডে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়া ◈ ‎ব্রিটিশ ট্যোবাকো কোম্পানির তামাকবাহী ট্রাক থেকে গাঁজাসহ আটক-৩ ◈ ঢাকা-ওয়াশিংটন সামরিক মহড়া, নজর রাখছে ভারত ◈ রোববার ভারত-পাকিস্তান এ‌শিয়া কা‌পে আবা‌রো লড়াই‌য়ে নাম‌ছে

প্রকাশিত : ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ০১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ০১:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোভিড প্রতিরোধে শপিং মলে যেভাবে ক্রেতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়

এ বি এম কামরুল হাসান: কোভিড রোগী বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পয়লা জানুয়ারী ছিল সারাদেশে দৈনিক চারশ রোগী। এখন দৈনিক প্রায় পনেরো হাজার। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সাইত্রিশ গুন। এমতাবস্থায় দফায় দফায় আসছে সরকারি বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধের কাগজের সাথে বাস্তবের মিল নেই। রাস্তাঘাট, যানবাহন, শপিং মল- সবখানে মানুষজনে ঠাসা। বাণিজ্যমেলায় মানুষ গিজগিজ করছে । স্বাস্থ্য বিধির বালাই নেই। কেউ মাস্ক পরছে তো কেউ পরছে না। তদারকির কেউ নেই। এ যেন বিধি আছে, নিষেধ নেই। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দর্শনার্থী বা ক্রেতা নিয়ন্ত্রণে কোভিড এর শুরু থেকে একটি সহজ পদ্ধতি চালু করেছে। সেটা সুচারুভাবে কার্যকরও হচ্ছে। শপিং মল কর্তৃপক্ষ পদ্ধতিটি বিবেচনা করে দেখতে পারে। পদ্ধতিটি সহজ ও সুলভ। কোন অতিরিক্ত জনশক্তির প্রয়োজন নেই। বিদ্যমান জনবল দিয়েই সেটা সম্ভব।

সরকারি বিধি মোতাবেক শপিং মল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে একত্রে কতজন লোক শপিং মলে থাকতে পারবে। একই ভাবে প্রতি শপে একত্রে কতজন লোক থাকতে পারবে। এটি অবশ্যই নির্ভর করবে দোকানের বা শপিং মলের আয়তনের ওপর। দোকান মালিক ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ ঠিক ততগুলো লেমিনেটিং করা সিরিয়াল নম্বরযুক্ত টোকেন মূল ফটকে সংরক্ষণ করবে। ক্রেতারা ভ্যাকসিন দেয়ার সার্টিফিকেট প্রদর্শন করে লেমিনেটিং করা টোকেন নিয়ে দোকানে ঢুকবে। তবে মুখে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। থাকতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা। সিরিয়াল এর টোকেন শেষ তো দোকানে ঢোকা বন্ধ। এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াবে। ভেতরে ঢোকা ক্রেতার কাজ শেষ করে সিরিয়াল নম্বরের টোকেন জমা দিলে সেটা নিয়ে আরেকজন ঢুকবে। এটি দোকান বা শপিং মলে ঢোকা- উভয়ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এমনি ভাবে কোন দোকানে বা শপিং মলে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নিৰ্দিষ্ট সংখ্যার বেশি মানুষ থাকবে না। এককথায় কখনোই মানুষ গিজগিজ করবে না। পুরো ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করবে শপিং মল ও দোকানের কর্মচারীরা। তদারকি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেউ এ বিধি মানতে না চাইলে ত্রিপল নাইন তো রয়েছেই। তবে হাঁ, লেমিনেটিং করা সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে আবার কোভিড ছড়ানো যাবে না। এটি অবশ্যই স্যানিটাইজার দিয়ে ভেজানো একটি তোয়ালের সাহায্যে ভালো করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। লেখকঃ প্রবাসী চিকিৎসক, কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়