ইমতিয়াজ মাহমুদ: প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে সরিয়ে দিন। শিক্ষার্থীরা যখন এরকম মরিয়া হয়ে একজনের অপসারণ দাবি করছে, তাদের দাবির প্রতি সম্মান দেখানোটা জরুরি। আর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বিনীত আচরণ করেছে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা, এখন আবার উল্টে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ছাত্রদের বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে গ্রেনেড মারতে হবে কেন? এই যে সাউন্ড গ্রেনেড মারা ছাত্রদের উপর, এটা তো যুক্তিসংগত বা রিজনেবল বলপ্রয়োগ হয় না আর কি। এটা কী ধরনের আচরণ?
প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সরিয়ে দিলে সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না, প্রফেসর সাহেবেরও কোনো ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। আমি তাঁর সিভি দেখলাম অনলাইনে, তিনি কামেল লোক। সরকার চাইলে তাঁকে নানান জায়গায় বসাতে পারে। অপসারণ করতে না চাইলে তাঁকে সরকারের উপর মহল থেকে বলতে পারে পদত্যাগ করার জন্য। কিন্তু এটা নিয়ে যদি গোঁয়ার্তুমি করতে থাকেন, তাহলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে- তাতে লাভ সরকারেরও হবে না প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন সাহেবেরও হবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতি খানিকটা সম্মান দেখান, সরিয়ে দিন এই উপাচার্যকে। আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করি। তবে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে পুলিশকে পুষ্প উপহার দেওয়ার দৃশ্যটা ক্লিশে হয়ে গেছে। আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অনুরোধ করছি, আরেকটু সৃজনশীল হওয়া যায় কিনা চেষ্টা করুন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে বহু বছর আগে একবার সিলেটে গিয়েছিলাম। প্রয়োজনে আরেকবার যাবো। আপনাদের সঙ্গে আছি। আপনারা বিজয় অর্জন করুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :