শাহাজাদা এমরান : [২] কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বোরো ধানের চারাগাছ উপড়ানোকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ । আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুই জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।
[৩] আহতরা হলো- উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামের ফাতেমা আক্তার (৩৫) ও স্বামী মহসিন মিয়া(৩৮)। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন খলিলাবাদ গ্রামের খোয়াজ বাড়ীর দক্ষিণ পাশে মহসিনের ফসলি জমিতে।
[৪] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামের মহসিন মিয়া ও প্রবাসী অহিদ মিয়ার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে । তারই জের ধরে উক্ত ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মহসিন মিয়া জানান, আমরা মাদবর মিয়ার মেয়ে ও স্ত্রীর কাছ থেকে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। এবছর বোরোধানের চারাগুলো লাগানোর পর লতিফা ও তার মেয়েরা একাধিকবা চারাগুলো উপড়িয়ে ফেলেছে। তার পরও আমরা কিছু বলিনি, আজও লতিফা ও তার চার মেয়ে আমার জমিতে গিয়ে বোরোধান গুলো উপড়িয়ে ফেলেতেছে শুনে দৌড়ে গিয়ে বাধা দিলে লতিফা ও তার চার মেয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
[৫] এদিকে অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী লতিফা জানান,এটা আমার স্বামীর ক্রয় করা সম্পত্তি। মৃত ছোবাহানের ছেলে আউয়াল মিয়ার কাছ থেকে আমার স্বামী ২শতক জায়গা ক্রয় করে । সেই কারনে আমি ধানেরচারা লাগাতে বাধা দিলে মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় আহত মহসিনের বাবা সেরু মিয়া বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
[৬] তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :