মাসুদ আলম : [২] শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হুমায়ন কবীর বলেন, রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার আসামী স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এসএমওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নোবেলের বাল্যবন্ধু ফরহাদ প্রায়ই তাদের কলাবাগান এলাকার বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
[৩] তিনি বলেন, এই সূত্র ধরে গত ১৬ই জানুয়ারি সকাল ১০টায় ফরহাদ তাদের কলাবাগান বাসায় আসেন। এসময় নোবেল তার স্ত্রী শিমুকে চা বানাতে বলেন। চা দিতে দেরি হওয়ায় নোবেল কিচেন রুমে ঢুকে তিনি দেখতে পান- স্ত্রী শিমু মোবাইল ফোন দেখছে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে নোবেল তার বন্ধুকে সহায়তা করার জন্য বলেন। এতে নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদ দুইজনে মিলে শিমুর গলাটিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই শিমু মারা যান। এসময় ফরহাদ একটি বস্তায় শিমুর লাশ ভরে বস্তাটি সুতা দিয়ে সেলাই করেন।
[৪] তিনি আরও বলেন, হত্যার পরে গেটের দারোয়ানকে নাস্তা আনার কথা বলে অন্যত্র পাঠিয়ে শিমুর বস্তাবন্দি লাশটি তারা গাড়ির পিছনে রাখেন। নোবেল ও ফরহাদ লাশটি নিয়ে রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় গুম করার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন। সুযোগ না পেয়ে লাশটি নিয়ে সন্ধ্যায় তারা আবার বাসায় ফিরে আসেন। ওইদিন রাতেই আবার লাশটি নিয়ে তারা বছিলা সেতু দিয়ে কেরানীগঞ্জের আলীপুর ব্রিজের অদূরে একটি রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিমুর লাশটি ফেলে পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :