মাসুদ আলম: [২] বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) ইমাম হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মির্জা মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ট্রেনিং করিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পোর্টে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামের সহজ সরল লোকজনদের প্রতারিত করে টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
[৩] তিনি আরও বলেন, তিনি নিজেকে ভুয়া ল্যান্ড ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিতেন। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে একজনের ৮ লাখ টাকা খরচ হবে। যাদেরকে পাঠানো হবে তাদের প্রথমে চট্টগ্রাম মেরিনে এক মাসের ট্রেনিং করতে হবে। এভাবে সে ভিকটিমসহ কয়েকজনের মাধ্যমে ৩৬ জনকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর জন্য সংগ্রহ করেন। তাদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায়ও করেন মুকুল।
[৪] ইমাম হোসেন বলেন, মুকুল আগে ওমান থাকতেন। তিনি ৯ বছর ওমানের সালাহ সি পোর্টে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে মেরিনভিত্তিক প্রতারণার পরিকল্পনা করেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরিতেও দক্ষ তিনি। মুকুলের কাছ থেকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ট্রেনিং করিয়ে অস্ট্রেলিয়া পোর্টে চাকরিতে নিয়োগের জন্য ২৬টি পাসপোর্ট, ৩টি অটোসিল, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ট্রেনিং পাসের কার্ড ৩৫টি, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ট্রেনিংয়ের ভুয়া যোগদানপত্রের কপি ৭টি, বাংলাদেশ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর লেখা ও ছবি সম্বলিত পাসপোর্টের আবেদন ফরম ২৫টি, মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থির চিত্র ১৫টি, প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :