শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:২৭ বিকাল
আপডেট : ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ০৬:২৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তেলাপোকার কাছে অসহায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজনরা

মঈন উদ্দীন : রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডে কাজে আসছে না তেলাপোকা তাড়ানোর কোনো উপায়। অসহায় হয়ে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেডে বেডে ঘুরছে তেলাপোকা, কখনও কখনও উঠে যাচ্ছে রোগীর গায়েও। হেঁটে বেড়াচ্ছে খাবারের মধ্যেও। এতে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা।

তেলাপোকা তাড়ানো ব্যর্থতার কথা স্বিকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, তেলাপোকা তাড়ানোর সব উপায় ব্যর্থ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বেকায়দায়ই আছেন তারা। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘তেলাপোকা নিয়ে আমরা বেকায়দায় আছি। বলতে পারেন ব্যর্থই হয়েছি।’ সব জায়গায় তেলাপোকার দৌড়াদৌড়ি। প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীটি এমন রাজত্ব গেড়ে বসেছে

এখানকার কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, রোগীর বিছানার নিচের দিকে বাসা বেঁধেছে অগণিত তেলাপোকা। কোনোটি বড়, কোনোটি সদ্য ফোটা বাচ্চা। এগুলো বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাসপাতালজুড়ে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল রোগীর বেশ কয়েকজন স্বজন তেলাপোকা তাড়াতে ব্যস্ত। এগুলো এখানকার মেঝে ও দেয়ালে দৌড়ে বেড়াচ্ছে, খাবার রাখার র‌্যাকে খেলে বেড়াচ্ছে, রোগীর খাবারের বাটি, থালাতেও হেঁটে বেড়াচ্ছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা বলছেন, ভয়ংকর এক পরিস্থিতি এখানে। তেলাপোকা যেন আতঙ্ক তৈরি করে দিয়েছে রোগীদের মধ্যে।

মেডিসিন ওয়ার্ডের এক রোগীর স্বজন আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই এই হাসপাতালের সেবা নিয়ে মানুষের মুখে নানা অভিযোগ শুনি। এখানে এসে তেলাপোকার উৎপাত দেখতে পাচ্ছি। চরম বিরক্তিকর। কোনো খাবার রাখা যাচ্ছে না। অনেকটা অরুচিকর বিষয়। সব থেকে ভয়ের বিষয় এগুলো যেকোনো সময় নাকে-মুখে ঢুকে যেতে পারে।’

তেলাপোকার উৎপাত নিয়ে তিনি জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখতে পারার কারণেই এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালে রোগীর যে চাপ, ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন রোগী বা তাদের স্বজনরা। ওয়ার্ডগুলো ঠিকভাবে পরিষ্কার করাও যায় না। এসব কারণেই এই সমস্যাটা বেশি হয়েছে।
]
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘যারা তেলাপোকা মারে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা এসে দেখে গেছেন। তারা এক একটি ওয়ার্ড ঠিক করতে ৬-৭ লাখ টাকা করে চেয়েছিল। আমরা সেটাও দিতে চেয়েছি। ‘তারা বলছেন, যেদিন যে ওয়ার্ডে কাজ করবেন সেদিন ওই ওয়ার্ড ফাঁকা রাখতে হবে। এটা আসলে আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমাদের এখানে এমনিতেই জায়গার অভাব। ওয়ার্ড বন্ধ করে কাজ করানো যাবে না। আবার রোগী রেখেও এগুলো মারার ওষুধ দেয়া যাবে না। এখন দেখি বিকল্প কিছু করা যায় কি না।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়