মনিরুল ইসলাম: [২]জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা সবাই দক্ষ ও দেশপ্রেমিক। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জের ধরে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
[৩] এই নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির এই সদস্য। তিনি রাজনৈতিক নেতাদেরও জাতীয় স্বার্থে এটাকে ইস্যু না করে দেশের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
[৪] সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাবলা এসব কথা বলেন।
[৫] নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে বাবলা বলেন, ‘হঠাৎ করে কেন এই নিষেধাজ্ঞা তার বোধগম্য নয়। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেশ ও দেশের মানুষের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে। তবে আমি বলবো না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য ধোয়া তুলশিপাতা। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের আমরা অত্যন্ত দক্ষ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা হিসেবে জানি। যুক্তরাষ্ট্র কেন এই নিষেধাজ্ঞা দিল তা নিয়ে সরকার কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সাথে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তারই পরিপ্রেক্ষিতে অচিরেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের যেসব দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা প্রত্যাহার করে নেবে।
[৬] একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নিষেধাজ্ঞার পর দেশে নানা গুজবের ডালপালা ছড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিনই আসছে নানা খবর। প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে অমুকের ভিসা বাতিল হয়েছে, তমুক ঢুকতে পারেননি। একই সঙ্গে এখানে-সেখানে নানা আলোচনা রয়েছে— এই নিষেধাজ্ঞায় সরকার কি চাপে পড়েছে?
[৭] বাবলা বলেন, ‘আমরা দেখেছি বিদেশে অবস্থানরত কয়েকজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের গুজব রটাচ্ছে। আর আমাদের দেশের কতিপয় মানুষ সেই গুজবে ডালপালা ছড়িয়ে দিচ্ছে সমাজের সর্বস্তরে। একের পর এক গুজব রটছে সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিলের।
[৮] রাজনীতিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাপার এই এমপি বলেন, আমাদেরে দেশের কতিপয় দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতারা এইসব বিষয় নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল ও মতের হতে পারি। তবে রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক নেতাদের বলবো আপনারা এমন বক্তব্য দেবেন না, যেটা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভারমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
আপনার মতামত লিখুন :