শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৪১ সকাল
আপডেট : ১৭ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিরজু মহারাজ 

হ্যাপি আক্তার: [২] প্রয়াত কত্থক নাচের কিংবদন্তী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ রোববার রাতে দিল্লিতে নিজ বাড়িতেই হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

[৩] ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ১৮ এর তথ্য মতে, কয়েকদিন আগেই কিডনির রোগের চিকিৎসা করিয়েছিলেন তিনি, করা হয়েছিল ডায়ালিসিস।

[৪] কালকা-বিনন্দাদিন ঘরাণার শিল্পী ছিলেন বিরজু মহারাজ। তার জন্ম ১৯৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ের এক নামি কত্থক নৃত্যশিল্পীদের পরিবারে। জন্মসূত্রে তার নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র। ছোট থেকেই নাচ-গানের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন।

[৫] শিশুশিল্পী হিসাবেই বাবার সঙ্গে মঞ্চ অংশগ্রহণ করতেন বিরজু মহারাজ। কৈশোরে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘গুরু’ তকমা জুড়ে গিয়েছিল তার নামের আগে। রামপুরের নবাবের দরবারে নৃত্য পরিবেশন করতে বিরজু মহারাজ। মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার জেতেন তিনি।

[৬] কত্থক নৃত্যের ঐতিহ্যশালী পরিবারের সদস্য ছিলেন বিরজু মহারাজ। তাঁর দুই চাচা শম্ভু মহারাজ ও লাচু মহারাজ এবং বিরজু মহারাজের গুরু ও বাবা ছিলেন আচান মহারাজ। বিরজু মহারাজও সেই নাচের ঘরানাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তবে আচমকাই হল ছন্দপতন। শুধু নৃত্যই নয়, অসাধারণ ড্রামবাদকও ছিলেন বিরজু মহারাজ। সব ধরনের ড্রাম, তবলা, নাল বাজাতে পারতেন তিনি।

[৭] দেশেটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্ম-বিভূষণে সম্মানিত হয়েছিলেন বিরজু মহারাজ। কত্থক ধ্রুবদী নাচে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন তিনি। সারা দেশজুড়ে বিরজু মহারাজের অসংখ্য ভক্ত ও ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। বলিউডের সঙ্গেও গভীর যোগ ছিল তাঁর।

[৮] ভক্তরা তাঁকে ভালোবেসে ও শ্রদ্ধা জানিয়েই পণ্ডিতজি বা মহারাজজি বলে সম্বোধন করতেন। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাহক হিসেবে অন্যতম সেরা শিল্পী ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, দিল্লিতে নিজের বাড়িতে রবিবার নাচি-নাতনিদের সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই তাঁর শারীরিক কষ্ট শুরু হয়। আচমকাই জ্ঞান হারান তিনি। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

[৯] গানও গাইতেন বিরজু মহারাজ। ঠুমরি, দাদরা, ভজন ও গজলের নিদর্শন রয়েছে তাঁর গলায়। দর্শকের সামনে দারুণ গল্প করতে পারতেন। সোমবার সকালে গায়ক আদনান স্বামী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যুর খবরে শোকবার্তা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'প্রবাদপ্রতিম কত্থক নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ। তিনি পারফর্মিং আর্টসের একজন অসাধারণ শিল্পী ছিলেন। তিনি একাধিক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।' পরিচালক অশোক পণ্ডিত ট্যুইটারে লিখেছেন, 'ভারত এক নক্ষত্রকে হারাল।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়