মিনহাজুল আবেদীন: [২] রোববার ইভ্যালি পরিচালনায় গঠিত বোর্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি ইভ্যালির দুটি ব্যাংকের একাউন্টে থাকা অর্থ তোলা ও প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা গাড়ি বিক্রিরও অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত।
[৩] ইভ্যালির নামে সিটি ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী এখন পর্যন্ত কত অর্থ খরচ করেছেন তার তালিকাও বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরকে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ইভ্যালির নামে থাকা ২২টি গাড়ি ভাড়া বা বিক্রি করে দেয়ারও অনুমতি দেয়া হয়েছে।
[৪] গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রতিষ্ঠানটির সব অফিস বন্ধ হয়ে যায়। এর এক মাস পরে বন্ধ হয় ইভ্যালির ওয়েবসাইট ও অ্যাপ। গত অক্টোবরের পর ইভ্যালির ফেসবুক পেজে কোনো পোস্ট হয়নি। গ্রাহকরা কার কাছে কীভাবে টাকা চাইবেন সেটার মতোই ঠিক কত গ্রাহক ইভ্যালি থেকে পণ্য কেনা বাবদ টাকা পায় তাও অজানা।
[৫] বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিজিটাল ই-কমার্স পরিচালন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি বলছে, গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ৫৪৩ কোট টাকা। প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক রয়েছে দুই লাখের বেশি। তবে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ পরিমাণ একশ কোটি টাকার কম। যদিও র্যাবের দাবি, ইভ্যালি থেকে গ্রাহক মার্চেন্টের পাওনা এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
আপনার মতামত লিখুন :