মোঃ ইউসুফ মিয়া : পঞ্চমধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গত ৫ জানুয়ারী রোজ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাংশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০ ইউনিয়নে মোট ৪৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
এই ৪৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এই নির্বাচনে ৬ থেকে শুরু করে ৪৩ ভোট পেয়েছেন।যে ব চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫০ ভোটের বেশী অতিক্রম করতে পারে নি তাদের নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
পাংশা উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এই নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যানের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে ৬১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। পরবর্তীতে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরে ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদ পড়ে অর্থাৎ ১০ ইউপির ১০ জন চেয়ারম্যানের জন্য ৪৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে।
পঞ্চম ধাপের নির্বাচন নিয়ে ভোট পরবর্তী নানা সমীকরণ নিয়ে হাটবাজার, পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানে আড্ডায় নানা আলোচনা ও হাস্যরস জোগাচ্ছে ৫০ ভোটের সীমা অতিক্রম করেনি এমন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীদেরকে নিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ থেকে ৪৩ ভোট পর্যন্ত পেয়েছেন। এই ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের তাদের মধ্যে কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে সাইদ আহমেদ পেয়েছেন ১৬ ভোট পেয়েছেন, আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চশমা প্রতীকে জাকিরুল ইসলাম পেয়েছে ৬ ভোট পেয়েছেন।
কলিমহর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাজ্জাদ হোসেন টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ ভোট পেয়েছেন, এবং চশমা প্রতীক নিয়ে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ২০ ভোট পেয়েছেন।
সড়িষা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাদুজ্জামান রতন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০ ভোট পেয়েছেন। পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেসমিন খান রজনীগন্ধা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ ভোট। মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোহাম্মদ আলী সরদার চশামা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ ভোট পেয়েছেন।মাছপাড়া ইউনিয়নে কমলেশ চন্দ্র দাস চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩ ভোট। যশাই ইউনিয়নে জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী মামুন গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২২ ভোট,খোন্দকার তোফাজ্জল হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে পান ২০ ভোট এবং ইউনিয়ন আওয়ালীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম খান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পান ১১ ভোট পেয়েছেন। বাহাদুরপুর ইউনিয়নে জাসদের মনোনীত প্রার্থী মুরাদ মশাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩ ভোট পেয়েছেন। এবং সর্বশেষ হাবাসপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে জাকারিয়া পেয়েছেন ১৪ ভোট পেয়েছেন।
কসবামাজাইল ইউনিয়নের ভোটার আজিজুল হক বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। তার মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে জাকিরুল ইসলাম নামের একজন পেয়েছে মাত্র ৬ ভোট। আমার মনে হয় প্রার্থীর তার পরিবারের সকলের ভোটটাও পাইনি কি কষ্ট পরিবারের।
পাংশা সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক জানান যে, এবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দেখলাম যে কখনো কোন জনপ্রতিনিধি ছিলো না, যে এলাকায় ও থাকতো সে পর্যন্ত চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন। অনেকেই এলাকার ভোটারদের কাছে মনে হয়েছে যে প্রার্থীরা অপরিচিত ছিলো।
কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মাত্র ৬ ভোট পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম জানান যে আমি নির্বাচন করেছি চেয়ারম্যান প্রর্থিী হিসেবে আমি ভোট কত কি পেলাম সেটা বড় কথা নয় নির্বাচনে মাঠে ঘাটে ভোটারের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট প্রর্থনা করেছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটাই বড় ব্যাপার ছিলো। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এরচেয়েও আরও ভালো কিছু করবে এই এলাকার জনগণ।
পাংশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, এই ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার সকল নাগরিকেরই আছে। এই চেয়ারম্যান প্রার্থীগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মোট ভোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগও পাইনি নির্বাচনের বিধি মোতাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :