ইসমাইল হোসেন: [২] দৌলতপুরে কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী কয়েকদফা হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছেন। এ সময় দরবার শরীফের ভক্তদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে ২ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
[৩] শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর চরদিয়াড় গ্রামে তাছের পীরের দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৪] এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে কথিত তাছের পীরের দরবার শরীফের বহিরাগত অনুসারীরা স্থানীয় এক নারীকে উত্ত্যক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে দরবার শরীফের বখাটে যুবকরা ওই নারীর পিতাকে মারপিট করে এবং স্থানীয় লোকজনদের অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। দরবার শরীফের বখাটেদের এমন কর্মকাণ্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কল্যাণপুর, চরদিয়াড়, সোনাইকুন্ডি ও গাছেরদিয়াড় গ্রামের কয়েকশ মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে তাছের পীরের দরবার শরীফে রাতে হামলা চালায়। এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দরবার শরীফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে দরবার শরীফের ভেতরে থাকা বহিরাগত বখাটে অনুসারীরা দরবারের ভেতর থেকে হামলাকারী গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
[৫] এ ঘটনায় সামিউল (৫০) ও কিরন (২৫) নামে দুই গ্রামবাসী গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
[৬] খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং জাকির নামে একজনকে রাতেই আটক করে। দরবার শরীফে আগুনের খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো।
[৭] দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দরবার শরীফে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটালে খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :