ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: [২] পদ্মার চরে চিনা বাদাম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার চাষীরা। পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে কৃষকরা সোনালী ফসল বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারের স্বচ্ছলতাও ফিরেছে চরবাসির।
[৩] চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় একহাজার হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ভেড়ামারায় বিস্তীর্ণ চরে চাষ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর জমিতে। একসময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পড়ে থাকতো। যা চাষীদের কোন কাজেই আসতো না। এখন জেগে ওঠা পদ্মার চরে চাষীরা চিনা বাদাম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় এ অর্থকরী ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়েছে।
[৪] এবছরও চরে বাদাম চাষ করে চাষীরা সাফল্য পেয়েছে। খরচ বাদ দিয়ে চাষীদের লাভও হচ্ছে। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় বাদাম হয়েছে ৫-৭ মন হারে। আর বিক্রয় হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে ২২০০টাকা মন দরে। তবে হঠাৎ করে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে অনেক চাষীর বাদাম পানিতে ভেষে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তারা।
[৫] ভেড়ামারা বাহাদুরপুর ও মোকারিমপুর বাহিরচর চর এলাকায় বাদাম চাষী সেরেগুল,নুর ইসলাম ও শাহাবুল আলম জানান, এবার বাদামের ফলনও ভাল হয়েছে।
[৬] মোকারিমপুর ইউনিয়নের চর গোলাপ নগর গ্রামের বাদাম চাষী আব্দুল জব্বার জানান, এবছর চরের ৭বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে সে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। বিঘা প্রতি ৫হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৬মন হারে বাদাম পেয়েছে সে।
বাদাম চাষে চাষীদের প্রশিক্ষণ ও সরকারী প্রনোদনার পাশাপাশি চরাঞ্চলের বাদাম চাষীদের বাদাম চাষে সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা মো.শায়খুল ইসলাম।
[৭] চরাঞ্চলের যেসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে সেসব জমি অর্থকরী সোনালী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসীর সারাবছরের আর্থিক চাহিদা পুরণ হবে, পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে। আর এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :