সাগর আকন: [২] অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে এমভি অভিযান-১০ এর মালিকসহ ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বরগুনা বারের সদস্য আইনজীবী ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজমুল ইসলাম।
[৩] রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। লঞ্চের মালিকের ঠিকানা দেখানো হয়েছে সুত্রাপুর, পুরাতন ঢাকা।
[৪] মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যর মধ্য বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ ও অ্যাডভোকেট এমডি আনিসুর রহমান। তারা ওই লঞ্চে ছিলেন।
[৫] জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার সময় ঝালকাঠির সুগন্ধার সন্নিকটে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। অসংখ্য যাত্রী আগুনে পুরে বরিশাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বরগুনায় ৩৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ঝালকাঠি থেকে পোড়া লাশ গ্রহণ করে ১০টি লাশ সনাক্ত করে তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করেন। বাকি ২৩টি বেওয়ারিশ লাশ বরগুনার পোটকাখালী গণকবরে দাফন করেন।
[৬] মামলায় উল্লেখ, করেন ঘটনার দিন লঞ্চটিতে আগুন লাগার পরে ভাসতে ভাসতে ঝালকাঠি জেলার কলাবাগান এলাকার কিনারায় পৌছলে ফায়ার সার্ভিস ও ঝালকাঠি প্রশাসনের লোকজন আসিয়া কতিপয় যাত্রীদের অগ্নি দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করিয়া ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতালে এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রায় অর্ধ শতাধিক মৃত দেহ উদ্ধার করিয়া শনাক্তকৃত কিছু লাশ স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দেন বাকি লাশ বরগুনা জেলা প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তর করেন।
[৭] ঘটনার সময় হতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আসামী স্বয়ং অথবা তার কোন প্রতিনিধি ঘটনা স্থলে স্বজন হারানো অভিভাবকদের শান্তনা পর্যন্ত প্রদান করেননি। আসামি পক্ষ বে-পরোয়া ভাবে লঞ্চ চালায়, ভাড়ার জন্য নিরাপত্তাহীন, অতিরিক্ত বোঝাইকৃত লঞ্চ যোগে জলপথে লোক বহন করে, অগ্নি বা দাহ্য বস্তু সম্পর্কে ত্রুটি রেখে, বিস্ফোরক পদার্থ ও যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ত্রুটি রেখে অবহেলা ও বে- পরোয়া যান চালানোর মাধ্যমে শত শত যাত্রীদের মৃত্য ঘটানোর অপরাধ করেছেন। এ মৃত্যুর জন্য লঞ্চ মালিক নিজে দায়ী। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :