আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র দুই বর্গকিলোমিটারের এই শহরটি ঘরবাড়ি আর কলকারখানায় ঠাসা। মিশিগানের সবচেয়ে বড় শহর ডেট্রয়েট থেকে শহরটির দূরত্ব খুবই কম।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে অবস্থিত হ্যামট্র্যামক শহরটিতে অসংখ্য বাংলাদেশি বসবাস করেন। তবে কয়েক দশক ধরে এ শহরটিকে অনেকে ‘ছোট্ট ওয়ারশ’ বলেও ডাকেন।
পোল্যান্ডের রাজধানীর নামে এমন নামকরণের কারণ হলো- একসময় এখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছিলেন পোলিশরা। শহরজুড়েই তাই পোলিশ লোক উপাদান ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
সিএনএন জানিয়েছে, গত ৯৯ বছরে হ্যামট্র্যামক শহরে যত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সবাই ছিলেন পোলিশ। কিন্তু তাদের এমন আধিপত্য নতুন বছরের শুরুতেই শেষ হতে চলেছে।
পোলিশদের বিদায় করে হ্যামট্র্যামক শহরের নতুন শাসক দল হবে এখন মুসলিমরা। কারণ সম্প্রতি শহরটির নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আমের গালিব নামে এক মুসলিম ব্যক্তি। আগামী ২ জানুয়ারি তার নেতৃত্বেই শহরটির সরকারব্যবস্থায় যুক্ত হবেন সব মুসলিম সদস্য।
এর মধ্য দিয়ে হ্যামট্র্যামকই হতে যাচ্ছে আমেরিকার প্রথম শহর, যার সরকারব্যবস্থা পরিচালিত হবে শুধু মুসলিমদের দ্বারা।
শহরটির নতুন নির্বাচিত মেয়র আমের গালিব একজন ইয়েমেনি। খুব কম বয়সে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছিলেন। সে সময় ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে তার বেগ পেতে হতো। বর্তমানে ৪২ বছর বয়সী এই যুবক চিকিৎসক হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছেন।
মাত্র দুই বর্গকিলোমিটারের এই শহরটি ঘরবাড়ি আর কলকারখানায় ঠাসা। মিশিগানের সবচেয়ে বড় শহর ডেট্রয়েট থেকে শহরটির দূরত্ব খুবই কম। এক সময়ের জাঁকজমকপূর্ণ এই শহর এখন প্রায় নিস্তেজ। শহরটির অসংখ্য কারখানা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।
শহরটিতে যেসব পোলিশ থাকতেন, গত দুই দশকে তাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বেশির ভাগ সদস্যই অন্যত্র, বিশেষ করে ডেট্রয়েটে গিয়ে বসবাস করছেন।
বর্তমানে হ্যামট্র্যামক শহরে বাংলাদেশি এবং ইয়েমেনিদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ফলে এই শহরে এখন মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। শহরটিকে নতুন করে প্রাণচঞ্চল করে তুলছেন তারাই।
আপনার মতামত লিখুন :