শওগাত আলী সাগর: ‘আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে সেখানে থাকেন না কিংবা অন্যদের থাকতে দিয়েছেন তারা হতে পারতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লক্ষ্যবস্তু। এই গ্রুপের মধ্যে যে কেবল ছাত্রীই আছেন তা নয়, ছাত্ররাও থাকতে পারেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বেছে বেছে ছাত্রীদের টার্গেট করে এবং কেবলমাত্র ‘বিবাহিত’ ছাত্রীদের টার্গেট করেন সেটিকে অশ্লীল মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মানসিকতার শীল্লতা অশ্লীলতা নিয়ে আলোচনা করা বিব্রতকর।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে সিটের সমস্যা নতুন কিছু নয়। আমাদের ছাত্র জীবনেও আমরা এই সমস্যার ভেতর দিয়েই গেছি। বাস্তবতা হচ্ছে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলের সিট বা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে সেই অর্থে বড় ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি। ফলে সমস্যাটা জিইয়ে থেকেছে এবং অতি অবশ্যই বেড়েছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখন ‘বিবাহিত ছাত্রীদের’ বলির পাঠা বানিয়ে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজছেন।
আমার মনে হয়, বিবাহিত ছাত্রীদের ওপর থেকে চোখ সরিয়ে সামগ্রিক সমস্যাটার দিকে নজর দেওয়া দরকার। কেবলমাত্র বিবাহিত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে টার্গেট করার অসভ্যতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশাসনের মানায় না। লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :