শিরোনাম
◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৩:৫৭ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৩:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইমতিয়াজ মাহমুদ: আপনার বক্তৃতা যদি শুরু হয় বিসমিল্লাহ্দিয়ে আর শেষ হয় খোদা হাফেজ

ইমতিয়াজ মাহমুদ: আপনার বক্তৃতা যদি শুরু হয় বিসমিল্লাহ্ দিয়ে আর শেষ হয় খোদা হাফেজ, আল্লাহ্ হাফেজ বা আখেরি দাওয়ানা দিয়ে তাহলে সেটা ধর্মনিরপেক্ষ বক্তৃতা থাকে না। সেই বক্তৃতা হয় মুসলমানদের জন্য দেওয়া বক্তৃতা। এই যে বিসমিল্লাহ্ আর খোদা হাফেজের ব্র্যাকেট, এইটা হচ্ছে ইসলামী ব্র্যাকেট, এই ব্র্যাকেট বা বন্ধনী আপনার বক্তৃতাকে সাম্প্রদায়িক চারিত্র্য দান করে। প্রশ্নটা ভালো মন্দের নয়, দোষ গুণের নয়। এটা কারও ভালো লাগতে পারে, সেটা দোষের কিছু না। আবার কারও কাছে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে সেটাও দোষের কিছু না। যার যার মতামতের ব্যাপার, পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু এইগুলো হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, এ ধরনের বক্তৃতাগুলো সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট।

পোস্টার বা প্রচারপত্রের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি যদি পোস্টারের উপরে লেখেন ‘শ্রীহরি সহায়’ বা ‘গনেশায়ঃ নমঃ’ বা ‘আল্লাহু আকবর’ বা ‘আল্লাহ্মহান’ বা ‘হর হর মহাদেব’ তাহলে সেই পোস্টার আর সার্বজনীন বা সকলের জন্যে থাকে না। সেগুলো হয়ে যায় বিশেষ ধর্ম ও গোষ্ঠীর জন্য। শুধু তাইই না, ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে, বা নৈর্ব্যক্তিকভাবে দেখলে, পোস্টারে এ ধরনের ঈশ্বর ইঙ্গিত বা সাম্প্রদায়িক ইঙ্গিত এগুলোও সাম্প্রদায়িকতা। অথবা অন্যভাবে বললে, এইগুলো হচ্ছে আপনার নিজের উদ্দেশে বা মতলবে ধর্মের ব্যবহার। রাজনৈতিক পোস্টার বা প্রচারপত্রে যদি এসব লিখে থাকনে, তাহলে সেগুলো হয় রাজনৈতিক মতলবে ধর্মের ব্যবহার।

আর যখন কেউ ধর্মকে এরকমভাবে নিজের মতলবে ব্যবহার করে আর সেই সঙ্গে নিজেকে গণতন্ত্রী বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বা ধর্মনিরপেক্ষ এরকম দাবি করেন, তাঁদের জন্যে আমি ভালো কোনো বিশেষণ খুঁজে পাচ্ছি না। কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্যে যেহেতু এই লেখা নয়, সেজন্য মন্দ বিশেষণগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকলাম। তারপরেও কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমাকে মাফ করবেন- আপনি আঘাত পেয়েছেন আপনার চেতনার গঠনে ত্রুটির কারণে, আমার এই অতি সংক্ষিপ্ত নৈর্ব্যক্তিক একাডেমিক আলোচনার কারণে নয়। ভালো থাকবেন সকলে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়