জাকির তালুকদার: আমাদের দেশের সিংহভাগ বুদ্ধিজীবী-লেখক-কবিরা অপছন্দ করেন বদরুদ্দীন উমরকে। অনেক কারণ আছে। তাঁর অনমনীয়তা, আদর্শে অবিচল থাকার জন্য প্রয়োজনে একা হয়ে যাওয়াকে ভয় না করাÑ এসব যেহেতু নিজেরা পারেন না, সেই হীনমন্যতা থেকেই তৈরি হয় মানসিক বিরূপতা। তাত্ত্বিক বা গুরুগম্ভীর আলোচনা বাদ থাকুক এখানে। একটি মোটাদাগের পার্থক্য তুলে ধরা যাক। আমরা যখন পুরস্কার কুড়াতে ব্যস্ত, তিনি তখন প্রত্যাখ্যানের একের পর এক নজির গড়ে গেছেন।
[১] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি ত্যাগ। [২] আদমজী পুরস্কারÑ প্রত্যাখ্যান [৩] ফিলিপস পুরস্কারন প্রত্যাখ্যান [৪] বাংলা একাডেমি পুরস্কার- প্রত্যাখ্যান [৫] ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার- প্রত্যাখ্যান [৬] একুশে পদক, প্রত্যাখ্যানÑ এগুলো সবই নব্বই দশকের ঘটনা। এর পরে আর কেউ তাঁকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার সাহসই পাননি। এই ভিখিরিপনায় আক্রান্ত, মেরুদণ্ডহীন দেশে বদরুদ্দীন উমর বড় বেমানান একজন। লাল সালাম কমরেড বলার যোগ্যতা আমার নেই। আমি বলি, সালাম। শুভেচ্ছা। লেখক : কথাসাহিত্যিক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :