ড. এমদাদুল হক: আমরা বাঙালি কিন্তু আমাদের ধর্ম আরব দেশে জাত। তাই ধর্মীয় পরিভাষা আমরা বাংলা থেকে আরবিতে বেশি বুঝি। শুধু তাই নয়, বাংলা ভাষায় বললে লোকে বলে, ‘হিন্দু নাকি’! ভাবখানা এমন যেন বাংলা হিন্দুর ভাষা। আচ্ছা, যারা বাংলা ভাষাকে হিন্দুর ভাষা বলে তারা বাংলায় কথা বলে কেন? বাংলায় থাকে কেন? আরবে চলে যায় না কেন? আমেরিকা, কানাডা, সুইডেনে বাঙালিরা নাগরিকত্ব পায়, আরব দেশে বাঙালিরা নাগরিকত্ব পায় না কেন? তথাচ, ‘ঠাকুরতলা’ শব্দে যারা হিন্দুর গন্ধ পান তারা একে ‘কাবা’ বলতে পারেন। পারিভাষিক অর্থে বাংলায় যাহা ‘ঠাকুরতলা’ আরবিতে তাহাই ‘কাবা’।
ঠাকুরতলার মতোই কাবা শব্দটি বড় রহস্যময়। এর উৎপত্তি কিউব থেকে। কিউব-এর উৎস ‘কাআব’, অর্থ- কুমারী। কু-কে মারে যে সে হলো কুমারী। তাই ঠাকুরতলায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে পঞ্চকুমারী। যথা- কামিনী, বকুল, শিউলি, জারুল ও হিজল। ইসলামে নারী নবী, রসুল বা বার্তাবাহক নেই কারণ বার্তা প্রেরক স্বয়ং নারী স্বভাবের।
রহমান ও রাহিম শব্দ দুটি এসেছে রিহম থেকে। রিহম অর্থ গর্ভাশয় এবং দয়া ও করুণা নিঃসন্দেহে নারীর গুণ। কাবা শব্দের সঙ্গেও সেমেটিক শব্দ ছইঅ-এর মিল রয়েছে যার অর্থ নারী-অঙ্গ। কালো পাথরের আকৃতিও গমের মতো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :