সুজন কৈরী: [২] গ্রেপ্তারকৃতের নাম- মো. মনোয়ার হাসান জীবন ওরফে লেদু হাসান (৪২)। শুক্রবার রাতে র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৩] তার কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ১রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মনোয়ার তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বলে জানিেেছ র্যাব।
[৪] র্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করা মনোয়ার ১৯৯০ সালে গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর থেকে তার কৃষক বাবার সঙ্গে ঢাকায় আসেন। ২০১০ সালে বহুল আলোচিত ওহিউদুজ্জামান হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় আসামী হিসেবে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
[৫] ২০১২ সাল পর্যন্ত জেল খাটে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আরও বেপরোয়া জীবন যাপন, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজীসহ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর, আদাবর থানাসহ বিভিন্ন থানায় খুন, বিস্ফোরকসহ ২৮টি মামলা রয়েছে।
[৬] মনোয়ার অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। সাধারণ মানুষের সম্পত্তি দখল, জমি দখল, চাঁদাবাজি, চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া ও জুয়ার কারবারসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িত।
[৭] এলাকায় নতুন কোনো ভবনের কাজ শুরু হলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমান চাঁদা দিতে হতো। অন্যথায় তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দিতেন। অস্ত্রধারী হওয়ায় এবং প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ জনগণ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে সাহস করতো না।
[৮] কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে অস্ত্র প্রদর্শন করে ভয়ভীতি ও মারধর করে গুরুতর জখম করতেন। মনোয়ার আদাবর এবং মোহাম্মদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী।
[৯] মনোয়ার ২০১৭ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে এস আর পলাশকে হত্যা করেন। আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা চলছে। একটি অস্ত্র মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদপুর বেড়িবাধ এলাকায় একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে দুজন মহিলাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিলেন। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :