শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৩৮ রাত
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ০২:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফরিদপুরে আবু ত্বহাকে মাহফিলে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় থানায় হামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি: [২] ফরিদপুরে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে থানায় হামলা ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধও করা হয়। এতে কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।

[৩] রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে জেলা সদর উপজেলার কানাইপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানায় এ হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

[৪] এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকায় একটি জুট মিল মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মারকাজুত তাকওয়া ইসলামি মাদরাসা ও সরদারবাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের।

[৫] সন্ধ্যা থেকে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে মাহফিলের মাইকে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রশাসনের আপত্তির কারণ দেখিয়ে তখন ওয়াজ মাহফিলও বন্ধ করা হয়। এতে মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদের একটি অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। আরেকটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে অবস্থিত থানায় হামলা চালায়। তারা সেখানে পুলিশের দুটি গাড়ি, একটি অ্যাম্বুলেন্স ও থানা ভবনের জানালা ভাঙচুর করে। পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত প্রায় ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।

[৬] মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা রকিব আল হাসান সরদার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ফোন দিয়ে আবু ত্বহাকে মঞ্চে ওঠাতে এবং বক্তব্য দিতে নিষেধ করে। এ ঘোষণায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

[৭] তার দাবি, হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে আয়োজকদের কেউ জড়িত নয়। এ বিষয়ে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন বলেন, মাহফিল আয়োজকরা আমার কাছে প্রথমে এসেছিলেন। আমি তাদের প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে অনুমতি নেওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু তারা সেটা না করে প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে মাহফিলের আয়োজন করেন। প্রশাসন অনুমতিবিহীন ওয়াজ মাহফিলের বিষয়টি জানতে চায় এবং বন্ধ করতে বলে। এরপর থানা ও যানবাহনে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি এ ঘটনা তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার ও শাস্তি দাবি করেন।

[৮] করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন শাহ বলেন, থানায় হামলা, যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

[৯] ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ওয়াজ মাহফিলের জন্য উপজেলা থানা থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ত্বহাকে আনাসহ ওয়াজ মাহফিলের বিষয়ে প্রশাসন কিছুই জানতো না। এমন পরিস্থিতিতে ওখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসনের কী বলার ছিল? এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়