নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামানের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন পেটের মধ্যে কাঁচি বয়ে বেড়ানো মনিরা খাতুন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। পুলিশ সুপারের সরাসরি হস্তক্ষেপে শনিবার মনিরার পেট থেকে অপারেশন করে কাঁচিটি বের করা হয়। বর্তমানে মনিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আশঙ্কামুক্ত ও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জাগো নিউজ
এ ঘটনায় রোববার (১২ ডিসেম্বর) তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানকে এ তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। বাকি দুই সদস্য হলেন- সহযোগী অধ্যাপক (গাইনি) ডা. কানিজ ফাতেমা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান।
হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মনিরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে। রোববার বিকেলে ফরিদপুরের এডিএম লিটন মিয়া ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মনিরাকে দেখেন এবং তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেন।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, রোগীর অভিভাবকরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। এসপি নির্দেশে রোগী ও তার অভিভাবকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রোগী মনিরাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি করা হয়। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) অপারেশন করে পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন বলেন, এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে এ অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে।
আপনার মতামত লিখুন :