শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:০৪ দুপুর
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাহাড় কাটার কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস ও ভূমিধস হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘টেকসই পর্বত পর্যটন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’। ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘভুক্ত সদস্য দেশগুলো দিনটি পালন করছে। একুশে টিভি

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, “২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পার্বত্য জেলাগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।”

বাংলাদেশের মোট ভূমির এক-পঞ্চমাংশ পাহাড়ি অঞ্চল। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আট ভাগ পাহাড়ি অঞ্চল অবস্থিত। বাকি দশ ভাগ অবস্থিত দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বেশকিছু টিলা পাহাড় রয়েছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলানিকেতন এই টিলা পাহাড় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অথচ পাহাড় কাটার কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে, ভূমিধসও ঘটছে। একইসঙ্গে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। তাছাড়া পাহাড়-পর্বত ধ্বংসের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে, পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ২২ শতাংশ পার্বত্য অঞ্চল, সেখানে প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের বসবাস। পার্বত্য অঞ্চলই বিশ্বের ৬০-৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণি এই অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ।

দিবসটি উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। ঢাকায় বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ১১টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়