স্বপন দেব : [২] দেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ইকোপার্ক মাধবকুন্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের পথ সুগম করতে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য পর্যটন এলাকার প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে স্থাপিত হচ্ছে ক্যাবল কার।
[৩] এরইমধ্যে এর সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। চলছে ক্যাবল কার প্রকল্পের পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের প্রতিবেদন প্রণয়নের কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্প্রতি স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বনবিভাগ। বন মন্ত্রণালয়ের ক্যাবল কার স্থাপনের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ বিনোদন কেন্দ্রে বৃদ্ধি পাবে দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন। পর্যটন খাতে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
[৪] জানা গেছে, দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুরা সারা বছরই সেখানে ভিড় জমান। মাধবকুন্ডের আশপাশের উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়, বন বাদাড়ের নানা প্রজাতির জীবজন্তু,পাহাড়ি ছড়া, খাসিয়া পল্লী, চা বাগান, গহীণ অরণ্যসহ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পর্যকটরা শুধু জলপ্রপাত দেখেই ফিরে যান।
[৫] স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিন সরকারের পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি মাধবকুন্ডে দেশি-বিদেশি পর্যটক আকৃষ্টে অবকাঠামো উন্নয়নে নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই নির্দেশনায় বন মন্ত্রণালয় পর্যটকদের মাধবকুন্ডের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের ব্যবস্থা করে দিতে ইকোপার্ক এলাকায় ক্যাবল কার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
[৬] বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, মাধবকুন্ডে ক্যাবল কার স্থাপন প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের (ইএসআইএ) প্রতিবেদন প্রনয়নের অংশ হিসেবে মাধবছড়া বীট অফিসে স্থানীয়দের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মাধবছড়া বীট অফিস থেকে জলপ্রপাত পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভুমি থেকে ৭০/৮০ ফুট উপর দিয়ে ক্যাবল কার চলাচলের পরিকল্পনা নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে বন বিভাগ । সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :