আবু হাসাদ: [২] রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাড়ির পাশে পায়খানায় যাওয়ার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন কলেজ ছাত্রী (১৯)। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়।
[৩] এ ঘটনায় ভুক্তভোগির পরিবার আদালতে অভিযোগ করে। আর এরপর থেকে অভিযুক্তের লোকজন চরম ক্ষীপ্ত হয়ে আছে।
[৪] গত ৩০ নভেস্বর সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
[৫] ভুক্তভোগি ওই কলেজ ছাত্রীর মা বলেন, আমার দুটি মেয়ে। বড়টা বিয়ে হয়ে গেছে। আর ছোট মেয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে। মেয়েটি কলেজে যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে বিল্পব (২৮) প্রায় উত্যাক্ত করে।
[৬] সে সূত্রে গত ৩০ নভেম্বর সকালে মেয়ে বাড়ির পাশে পায়খানায় যেতে বের হয়। সেখানে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা বিপ্লব পেছন থেকে মেয়েকে ঝাঁপটে ধরে এবং জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করার চেস্টা করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে আমরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত বিপ্লব পালিয়ে যায়। এরপর মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
[৭] এরপর ওইদিন বিষয়টি অভিযুক্তের পরিবারকে অবহিত করলে তারা উল্টা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের মারধরে আমার এক বোন, বড় মেয়ে ও তার ছেলে আহত হয়। মারধরের অভিযোগটি ওইদিন সন্ধ্যায় থানায় দেয়া হয়েছে। আর এলাকার প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের কারণে ছোট মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ থানায় জমা দিতে পারেনি। যার কারণে গত ২ ডিসেম্বর রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-২ আদালতে বিপ্লবকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
[৮] ভুক্তভোগির বড় বোন বলেন, আমাদের পরিবারে কোনো ছেলে মানুষ নেই। যার কারণে গ্রামের বিপ্লব নামের এক যুবক আমার বোনের ওপর হামলা করে। সে আমার বোনের মুখমন্ডলে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে দেয়। তার মারধর ও নির্যাতনের কারণে ছোট বোন গত প্রায় ৮দিন পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি ছিল। এরমধ্যে আমরা আদালতে শ্লীলতাহানির একটি অভিযোগ দেই। এরপর থেকে অভিযুক্ত পরিবারের লোকজন একজন জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে আমাদের হয়রানী করার চেষ্টা করছেন। তাদের কথামত শ্লীলতাহানি বিষয়টি গ্রামে সমাধান না করায় ওই পক্ষ আমাদের উপর চরম ক্ষীপ্ত হয়ে আছে।
[৯] এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপ্লবের সাথে কথা বলতে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে নম্বর বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
[১০] জিউপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন আরা আলেয়া বলেন, ওই ছেলে ও মেয়ের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে তা শুনেছি। তবে বিষয়টি গ্রামেই সমাধান করতে ছেলে পক্ষ আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে আদালতে গেছেন। যার কারণে এ বিষয়ে আর কিছুই বলতে পারবো না।
[১১] এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, কলেজ ছাত্রী নির্যাতনের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তারা থানায় অভিযোগ করলে অব্যশই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: শান্ত মজুমদার
আপনার মতামত লিখুন :