খালিদ আহমেদ: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যায় পরিবহন বিভাগ নুয়ে পড়েছিল।

[৩] তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর পরে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

[৪] বুধবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধসংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।

[৫] দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও সাময়িক অসুবিধা হবে। একটু দুর্ভোগ হতে পারে। এরপরও আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি নিয়মিত গাড়িচালক ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে আমাদের গাড়ি পরিচালনা করব না। আমাদের সম্পদ, গাড়ি কাউকে ধরতে দেব না। এ বিষয়ে আমরা কঠোর। যারা নিয়ম ভঙ্গ করে এগুলো করে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের সুযোগ না থাকে, সে জন্য আমরা পরিবহন বিভাগকে সংস্কার করব।’

[৬] এ সময় বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল উদ্ধার কার্যক্রম নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

[৭] তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখননের কাজ শুরু করা হবে। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

[৮] দক্ষিণ সিটির মেয়র আরও বলেন, ‘কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করলে সেটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম বিবেচনায় যাতায়াতসুবিধা নিশ্চিত করতে দুটি সেতু করতে হবে। যাতে মূল ঢাকার সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরের যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হয়। সেই লক্ষ্যে কোথায় কোথায় সেতু করব, সেই বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখতেই বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নিয়ে পরিদর্শনে এসেছি।’

[৯] মেয়র তাপস সাংবাদিকদের জানান, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। মেয়র আরও বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে, সেগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

[১০] এর আগে সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনে নেমে মেয়র তাপস নগরীর ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস), ধোলাইখাল জলাশয় ও মালিটোলা উদ্যানসংলগ্ন এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

[১১] এ সময় অন্যদের মধ্যে সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, মো. খায়রুল বাকের, মুন্সি মো. আবুল হাসেম ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।