লিহান লিমা: [২]কাবুলের পতনের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রদপ্তরের বিশৃঙ্খলতা এবং বিভ্রান্তির কারণে আফগানিস্তান থেকে পুনরুদ্ধার কার্যক্রম কিভাবে ব্যাহত হয়েছিলো তা ফাঁস করেছেন ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মী।
[৩]এই জুনিয়র সিভিল সার্ভেন্ট দাবী করেন, আফগানিস্তানে আটকে থাকা শত শত ব্রিটিশ-আফগান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও আমলাতান্ত্রিক বিশৃঙ্খলা, পরিকল্পনার অভাব এবং কোভিডের কারণে স্বল্পকর্মঘণ্টার কারণে বিপর্যয়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
[৪]রাফায়েল মার্শাল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সৈনিকদের ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেয়া হয় কারণ দায়িত্বরত কর্মীরা বাসায় ছিলেন এবং বাড়তি সময় কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। এই সময় তিনি পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহতের জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের বিলম্ব সিদ্ধান্তের অভিযোগ করেন। তিনি আরো দাবী করেন, শত শত পাঠানো মেইল আমরা ওপেন করি কিন্তু এগুলো নিয়ে কাজ করা হয় নি কারণ বরিস জনসন শুধু এমপিদের বলতে চেয়েছেন যে পড়া হয় নি এমন কোনো বার্তা নেই।
[৫]২১ আগস্ট সেদিন সংকট চরম পর্যায়ে ছিলো সেদিন মেইল চেক করার জন্য আমিই একমাত্র ব্যক্তি ছিলাম। প্রতি মুহুর্তে আমার ইনবক্সে ৫ হাজারের মতো অপঠিত বার্তা ছিলো। সেখানে ‘দয়া করে আমার বাচ্চাকে বাঁচান’ এর মতো লাইন ছিলো।
[৬]তদন্ত কমিটির কাছে দেয়া সাক্ষ্যয় মার্শাল বলেন, প্রায় ৭৫ হাজার থেকে দেড় লাখ লোক ফেরার আবেদন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৫ শতাংশেরও কম সহায়তা পেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :