সুমাইয়া মিতু: [২] ১৯৮০ সালের জনপ্রিয় নাটক ‘ওশিন’ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন উইশমা রথনায়েক। নাটকটির গল্পটি ছিলো, একজন অল্পবয়সী দরিদ্র মেয়ে কিভাবে জাপানি সুপারমার্কেট চেইনের প্রধান হয়ে ওঠেন তার ওপর। এ অনুপ্রেরনায় এবং বাবার অনুরোধে, রথনায়েক কলম্বোর উত্তর-পূর্বে শ্রীলঙ্কার ছোট শহর গাম্পাহা থেকে একদিন জাপানে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে জাপানি ভাষা শেখা শুরু করেন। সিএনএন
[৩] বাবার মৃত্যুর পর মাকে বুঝিয়ে ইংরেজির শিক্ষক হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় টোকিওর উপকণ্ঠ নারিতাতে যান। তবে তিন বছর পর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় রথনায়েককে জাপানের অভিবাসন ব্যবস্থায় আটক করা হয় এবং আটক অবস্থায় ৬ মার্চ ২০২১-এ তিনি ৩৩ বছর বয়সে মারা যান।
[৪] তার এ মৃত্যুর ঘটনা জাপানে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। জাপান লয়ার্স নেটওয়ার্ক ফর রিফিউজির তথ্য অনুসারে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৭ জন অভিবাসী বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন।
[৫] তার মৃত্যু এমন একটি ব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাবকেও উন্মোচিত করেছে যেখানে লোকেরা মুক্তির কোন সম্ভাবনা ছাড়াই বছরের পর বছর বন্দী অবস্থায় থাকে। বিদ্যমান এ ব্যবস্থার পরিবর্তনে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছেন উইশমার দুই বোন। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব
আপনার মতামত লিখুন :