ইমরুল শাহেদ: কোভিড মহামারির কারণে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর বড় বাজেটের ছবিগুলো মুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের আগের ব্যবসাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ছবির নির্মাতারাই উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং সিনেমা হল বিমুখ দর্শককে আগের মতো হলমুখী করার জন্য প্রচারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিটি গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। তারা প্রায় তিন বছর পর রোড পাবলিসিটির আয়োজন করেছেন। ব্যান্ড পার্টিসহ ঘোড়ার গাড়ির এই পাবলিসিটিতে অনেকে অবাকও হয়েছেন।
এই টানাপড়েনের বাজারে একটি ছবি বাজারজাত করার জন্য এমন আয়োজন ইতোমধ্যে তাদের চোখে পড়েনি। তবে রোড পাবলিসিটি ছাড়াও এখন ছবির প্রচারণার ধরণ বদল হয়েছে। ফেসবুক, ইউটিউব মাধ্যমকে নির্মাতারা ছবির প্রচারণার প্রাথমিক স্তর হিসেবে ব্যবহার করেন। পত্র-পত্রিকায় তাদের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, নানা আঙ্গিকের নিউজ চাইলেও এখন কোনো নির্মাতা বিজ্ঞাপন দিতে চান না। কোটি টাকার পণ্য তৈরি করলেও প্রচারের কোনো বাজেট থাকেনা তাদের। তারা মনে করেন গণমাধ্যমকর্মীরা বিনা অর্থে যখন তাদের প্রচারে উদ্যোগী তখন আর বিজ্ঞাপন দিয়ে কি হবে? আগে চলচ্চিত্র সংক্রান্ত তিনটি সাপ্তাহিক থাকলেও দৈনিককে বিজ্ঞাপন না নিয়ে কেউ ছবি মুক্তি দিতেন না। সেই বিজ্ঞাপনে ছবিটি কোন কোন সিনেমা হলে চলছে সেই তথ্য পেয়ে যেতেন দর্শক।
এখনকার সময়ে কোথায় সিনেমা তৈরি হচ্ছে, কে নির্মাণ করছেন, কারা কারা ছবিটিতে কাজ করছেন, কোন কোন সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হলো সেটা কেউ সঠিকভাবে জানেনও না। দর্শক সিনেমা হলে যাবে কি করে? আগে দৈনিক বা সিনেমা সাপ্তাহিকগুলোকে কেবল বিজ্ঞাপনই দেওয়া হতো না, ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ আগে থেকে পোস্টারে ভরে যেত সারা শহর। লিফলেট এবং মাইকিংতো থাকতোই। একটা সময়ে প্রদর্শিত ছবিটির গানগুলোর প্রিন্ট চটি বই আকারে সিনেমা হলের সামনে বিক্রি করা হতো। তাতে ছবির গানগুলো দর্শকের মুখে মুখে ফিরত। এখন কোনো ছবির গান কেউ মনে রাখে না। এসব দিক বিবেচনায় রেখে যদি চলচ্চিত্রের বিপণনকে নতুনভাবে সাজানো যায় তাহলে ইতিবাচক একটা ফল আসবে বলে অনেকে মনে করেন।
আপনার মতামত লিখুন :